প্রধান মেনু

সেতু ও কাঁদা মাটির রাস্তার কারনে ভোগান্তির শেষ নেই কাফুড়া গ্রামবাসীর 

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর  প্রতিনিধি || ফরিদপুর শহর গেরদা ইউনিয়ন পূর্ব কাফুড়া গ্রামের মানুষের সেতু ও কাঁদামাটির রাস্তার কারনে ভোগান্তির শেষ নেই। বাওর খালের উপর ২ বছর আগে নির্মান করা হয় সেতু। বর্তমান সেতুর উপর উঠতে মই লাগে এলাকাবাসীর । ঠিকাদররা কোন রকম সেতুটি দিয়েই দায়িত্ব পালন করেছে গেছেন, জনগন সেতুটি ভাল ভাবে  ব্যাবহার করতে পারবে কিনা, তার খোঁজ কে রাখে। এই সেতুর এক পাশে পাকা রাস্তা আর এক পাশে কাঁচা রাস্তা, অথচ কাঁচা রাস্তার মধ্যে  ২ শত পরিবার বসবাস করে থাকে, আর এই রাস্তা দিয়ে  ঝড়, বৃষ্টি, বর্ষা, বাদল, মোকাবেলা করে  স্কুল,কলেজ,বাজারঘাট, কবর স্থান, ঈদগার ময়দানে যেতে হয়, শুধু তাই নয় কোন পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাঁদে করে পাকা রাস্তা পর্যন্ত  নিয়ে এসে  হাসপাতালে পৌছাতে পৌছাতে পথের মাঝে ঘটতে পারে বড় কোন অঘটন।
সেতুর উপর দিয়ে পারাপার হতে পারে না কোন যানবাহন। এলাকার ভুক্তভুগী সাধারণ মানুষ জানায়, যে সেতু মানুষের উপকারে আসে না সেটা দিয়ে লাভ কি,  আমাদের জন্য আগের ছোট লৌহার সেতুটি ভালো ছিল। সেতুটি যে পরিমান উচুঁ করে তৈরী করা হয়েছে সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকলে মই দিয়ে সেতুতে উঠতে হয়, আর সেতুর গোরায় হাজার বার মাটি দিলে ও কিছু দিন ভালো থাকে আবার যা তাই হয়। ফলে বর্তমান গ্রামবাসী এখন পাট, ধান,গোবরের ঘোষি, ভেজা কাপড়, লেপ, তোশক, কাঁথা-বালিশ, চট, ছালা শুকানোর কাজে ব্যবহার করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়,এই সেতুর এক পাশের মানুষ পাঁকা রাস্তায় চলাচল করে আর এক পাশের  ২শত পরিবার কাঁচা রাস্তায় চলাচল করে, এই এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, বা কোন নেতার এই নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই, নাম না প্রকাশ করায় কিছু ব্যাক্তি বলেন এই ৭০ মিটার কাঁচা রাস্তা দেখিয়ে নেতারা কাজ পাস করলেও তাঁরা কোন কাজ করে নাই, নেতাদের প্রশ্ন করলে বলে কথা চলছে কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। কিন্তু কবে  এই কাজ সম্পর্ন হবে অসহায় মানুষ গুলো আজ ও জানে না।
তাই অসহায় এলাকাবাসীর  দাবি শহরের বড় বড়  মানুষের ঘরের সামনে যদি  পাঁকা রাস্তা হতে পারে তাহলে ২ শত পরিবারের জন্য ৭০মিটার কাঁচা রাস্তা কেন পাঁকা হবে না। এই গ্রামের আশেপাশের সকল রাস্তাগুলো পাঁকারাস্তায় পরিনিত করা হলে ও এই এলাকার প্রয়োজনীয় রাস্তাটা  যুগের পর যুগ কাঁদামাটিতেই রয়ে গেছে। যার কারনে এখানে বসবান কৃত লোকজন স্কুল, কলেজ, বাজার ঘাট, হাসপাতাল, কবরস্থান, ঈদগা ময়দানে বৃষ্টি বাদলের দিনে যাতায়েত করতে নানা ধরনের বিপদের সমূখে পড়তে হচ্ছে।