সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নারী দিবস পালন মোহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন

সময় এখন নারীর : উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরে কর্মজীবন ধারা- এই ¯স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল ৮ই মার্চ আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মিরপুর ৯নং ওয়ার্ড ঈদগাহ ও খেলার মাঠে অবস্থিত সূর্যের হাসি ক্লিনিক গাবতলী শাখা কর্তৃক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ক্লিনিক ম্যানেজার মোঃ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে মাহবুব উদ্দিন সাজকে প্রধান অতিথি করে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। এর মধ্যে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুসরাত জাহান ডুরিন, সার্ভিস প্রমোটর শামছুন্নাহার এবং মাহমুদ হোসেন আসিফ।
কাউন্সিলর রিনা পারভীন ও প্যারামেডিক সুলতানা রাজিয়া। আলোচনা শেষে গর্ভবর্তী মায়েদের মাঝে ইউএসএআইডি কর্তৃক বরাদ্দ মায়ের ব্যাংক ও আয়রণ ট্যাবলেট প্রদান করা হয়। এখানে উল্লেখ্য ইউএসএআইডি’র সহায়তায় পরিচালিত কার্যক্রম এ্যাডভান্সিং ইউনির্ভাসেল হেল্ধসঢ়;থ কভারেজ প্রকল্পের (এইউএইচসি) পরিবারভিত্তিক অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে জেন্ডার ভিত্তিক সমতা অর্জনের পাশাপাশি কর্মএলাকায় কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা উন্নয়নে নারীপুরুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে সেবা প্রদান করে। এইউএইচসি সারাদেশে ৩৯৯টি সূর্যের হাসি স্ট্যাটিক ক্লিনিক, ১০,৭৫৪ টি স্যাটেলাইট ক্লিনিক, ৭৭৭ জন সার্ভিস প্রোমেটার এবং ৮,৩১৬ জন কমিউিনিটি সার্ভিস প্রোভাইডার- এর মাধ্যমে সারাদেশে দূর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে মানসম্মত সেবা প্রদান করছে।
সূর্যের হাসি ক্লিনিকে জেন্ডার সমতা উন্নয়নে পরিবার ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রকল্পটির অন্যতম একটি উদ্দেশ্য। ইতিহাসে জানা যায় ১৮৫৭ সালে মজুরী বৈষম্য কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিল সুতা কারখানার শ্রমিকেরা সেই মিছিলে চলে সরকারের লেঠেল বাহিনীর দমন পীড়ন। ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কের সোস্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো, ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ, জার্মান কমিউনিষ্ট পার্টির স্থপতিদের একজন এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেন হেগেনের অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন।
১৭টি দেশের ১০০জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা জেটকিন প্রতিবছর ৮ই মার্চ কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ সাল থেকে নারীদের সমঅধিকার দিবস হিসাবে দিনটি পালন হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে পালন হতে থাকে ৮ই মার্চ। ১৯৭৫ সালে ৮ই মার্চ কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ ও প্রতিবছর এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে।