প্রধান মেনু

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ইউএনওর ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ ——–

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ বিগত ঈদের ন্যায় এবারের ঈদে ও এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করেছেন পাইকগাছার মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। রাত পোহালেই সারাদেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

যদি ও মহামারি করোনার কারণে ঈদ উদযাপনে সরকারি কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে এবারের ঈদ। ঈদ মানেই খুশী। বড়দের থেকে ঈদের খুশী কিংবা আনন্দ শিশুদের কাছে সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়। ঈদের আনন্দ শিশুরাই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করে থাকে। বিশেষ করে ঈদের দিন নতুন পোশাক মানেই শিশুদের কাছে অনেক আনন্দের বিষয়।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় সমাজে এমন অনেক দরিদ্র পরিবারের বসবাস রয়েছে।নতুন পোশাকের অভাবে এসব পরিবারের শিশু সন্তানদের ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। খুশীর পরিবর্তে এসব পরিবারে ঈদ যেন কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়। নতুন পোশাকের অভাবে এধরণের দরিদ্র পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদ আনন্দ কোন ভাবেই যেন ম্লান হয়ে না যায় এমন মানবিক বিষয়টি উপলব্দি করেছেন মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

তিনি গত ঈদের ন্যায় এবারের ঈদে ও এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবস্থা করেছেন নতুন পোশাকের। ইউএনও খালিদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন পোশাক নিয়ে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে যান উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বাঁকা এলাকায়। তিনি রোজা রেখে প্রখর রৌদ্রের মধ্যে থানার ওসি এজাজ শফী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে বাঁকা আবাসনে পৌছান।

এরপর তিনি এখানকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিয়ে দেন ঈদের নতুন পোশাক। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন মহাখুশি। শিশু মুক্তা তার অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলে ফেলে আজ আমি মহাখুশি।অভাবের কারণে ঈদে আমার পিতা আমাকে নতুন পোশাক দিতে পারেনি। নতুন পোশাক দিয়ে ইউএনও স্যার অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছে।

আল্লাহ্ স্যারকে মঙ্গল করুক। প্রতিটি উপজেলায় খালিদ হোসেন এর মতো এমন মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকলে দেশের কোন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকতো না বলে মন্তব্য করেন এখানকার দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকরা।