সিরাজগঞ্জে মাতৃত্বকালীন ভাতা পাইয়ে দিতে ‘ঘুষ নিয়ে’ কারাগারে নারী ইউপি সদস্য

সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই মাহমুদ হাসান জানান, সীমা খাতুন এক নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা পাইয়ে দিতে দুই দফায় ১৪ হাজার টাকা নেন বলে ওই নারীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠে। ওই নারী পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার পারভেজের কাছে অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রোববার ইউএনও তার কার্যালয়ে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে ঘটনার শুনানি করেন।
এসআই মাহমুদ বলেন, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ইউএনও পুলিশে দেন ইউপি সদস্য সীমা খাতুনকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় মামলা করেছেন। সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সীমা খাতুনকে।
বয়স্কভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রণোদনা ইত্যাদি নানা ধরনের সরকারী সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রায় প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে উঠেছে। অনুসন্ধানে এর সত্যতাও পাওয়া যায়, তবে এসব কাজে অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস করেন না। ভুক্তভোগীদের দাবী, তাদের বিরুদ্ধে বললে তাদের কিছুই হবেনা। বরং আমরা ভবিষ্যতে সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবো ! তাই এসব নিয়ে কথা বলে আমাদের কোনো লাভ নেই!