প্রধান মেনু

সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন  

সিডনী, ১৭ মার্চ : ১৭ ই মার্চ বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এ সময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম।

এ উপলক্ষে কনস্যুলেট ভবনে স্থানীয় অভিবাসী বাংলাদেশি, কম্যুউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানের শুরতেই পবিত্র ধর্ম গ্রন্থসমূহ থেকে বাণী পাঠ করা হয়। এরপর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী ও শাহাদতবরণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মহান আল্লাহ’র রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  তাৎপর্যপূর্ণ এ দিবসে জাতীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ উপস্থিত সুধীবৃন্দ ও অতিথিবৃন্দকে পাঠ করে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার একচ্ছত্র নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। জাতির জনকের বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে কনসাল জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবদান কেবলমাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো না বরং তাঁর পুরো জীবনেই তিনি দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে অপরিসীম কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন, যা পুরো জাতির জন্য আজীবন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ উন্নয়নের পেছনেও রয়েছে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন ও দেশ পরিচালনায় তাঁর সঠিক দিক নির্দেশনা ও প্রণীত রূপরেখা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন পরবর্তী প্রজন্মকে ব্যক্তি জীবনে ধারণ করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু কিশোরদের হৃদয়ে দেশ, জাতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু কিশোর শিল্পীরা বাংলা ছড়া, গান, কবিতা, অভিনয়, নাচ ও সম্মিলিত বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন করে। তাদের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও এতে অংশগ্রহণ করেন।

সবশেষে কনসাল জেনারেল উপস্থিত শিশু কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।