সিউলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত
সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের দ্বিতীয় ও সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত সম্মাননাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের অভিনন্দন জানান এবং বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে তাদের সংশ্লিষ্টতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি বলেন, ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ দায়িত্বশীল, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের জন্য ‘গ্লোবাল কমপ্যাক্ট’ এর ধারণাটি বিশ্বসম্প্রদায়ের নিকট উপস্থাপন করেন।
দুই বছর পর্যালোচনার পর ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর এটি জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অভিবাসনের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এ বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত দশ হাজার বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীর কর্মনিষ্ঠা, আনুগত্য এবং তাদের সমাজসেবামূলক কর্মকা-ের প্রশংসা করেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে পাঁচটি ক্যাটেগরিতে তেরো জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী এবং পাঁচজন কোরিয়ান নিয়োগকর্তাকে সম্মাননা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে এইচ আর ডি কোরিয়া, কমওয়েলথের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাশে, বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিসহ প্রায় শতাধিক দর্শক উপস্থিত ছিলেন। অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, দিবসটির প্রথম পর্ব ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে উদযাপিত হয়। বাংলাদেশি পাঁচজন ইপিএস কর্মী কর্তৃক সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর সূচনা বক্তব্যে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মকিমা বেগম দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এরপর বক্তব্য প্রদান করেন মি: কিম হিয়স সং, প্রতিনিধি, হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট অভ্ধসঢ়; কোরিয়া। ‘হ্যাপি রিটার্ন’ প্রোগামের উপর এইচ আর ডি কোরিয়ার একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দূতাবাসের কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী এবং দূতালয় প্রধান রুহুল আমিনসহ কোরিয়ায় অবস্থানরত সকল ইপিএস কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনয় শিল্পী মোমেনা চৌধুরী অভিনীত মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক বীরঙ্গনার সংগ্রামী জীবনের নাট্য প্রকাশ “লাল জমিন” মঞ্চস্থ হয়। অভিনয় শিল্পী মোমেনা চৌধুরীর অনবদ্য অভিনয় দর্শকদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে একটি ভিন্ন মাত্রায় সঞ্চারিত করেছে।