প্রধান মেনু

সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের বসত ভিটা সংরক্ষণ জরুরী প্রয়োজন॥

এস,এম আলাউদ্দিন সোহাগ পাইকগাছা (খুলনা)॥ এ সময় খাঁটি চা কোথায় পাই। কাজী ইমদাদুল হকের অদ্ভুদ চা খোর গল্প অবলম্বনে রচিত নাটকের টিভি ও চলচিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেতা মোশারফ করিমের টিভি নাটকের এই সংলাপ শুনিনি এমন ব্যক্তি এদেশে বিরল। অসংখ্য জনপ্রিয় ছোট গল্প উপন্যাসের লেখক কাজী ইমদাদুল হক। দেশ বরেণ্য সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর অত্র উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আগামী ৪ নভেম্বর তার ১৩৫ তম জন্মবার্ষিকী। তার পিতা কাজী আতাউল হক তিনি মোক্তারী পাশ করে খুলনা আদালতের আইনজীবী ছিলেন।

কাজী ইমদাদুল হক সমকালিন অমর কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের পরিচ্ছন্ন চিন্তার অধিকারী ছিলেন। আব্দুল্লাহ উপন্যাসটি তার সমাধিক খ্যাতি এনে দেয়। বিশ্ববিখ্যাত কবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আব্দুল্লাহ উপন্যাস পড়ে আমি মুসলমানদের ঘরের কথা জানতে পেরেছি বলে মন্তব্য করেন। তার প্রথম সাহিত্য কর্ম ৯টি কবিতা সম্বলিত আখিঁজল প্রকাশিত ১৯০০ সালে। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার সময় তার লেখা ভুলোগ শিক্ষা প্রনালী প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশিত হয় ১৯০৪ সালে। মুসলিম জগতের বিজ্ঞান চর্চা ভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯০৪ সালে। ১৯০৭ সালে নবী কাহিনী এবং ১৮১৯ সালে শিশু সাহিত্যের এযুগের অমর অবদান।

আলোকজান্দ্রিয়ায় প্রাচীন পুস্তাগার আব্দুর রহমানের কীর্তি, আলহামরা পাগল খলিফা, মুসলিম জগতের বিজ্ঞান চর্চা অসংখ্য প্রবন্ধ লেখেন তিনি। ১৯৬৮ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড তার বন্ধু কাজী আনার”ল কাদির সম্পাদনায় প্রকাশ করে কাজী ইমদাদুল হক রচনাবলী । বহুল প্রচারিত ও সুজনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও জনপ্রিয় লেখক সৈদয় আবুল মাকসুদ ২০০১ সালে প্রকাশ করে কাজী ইমদাদুল হকের অপ্রকাশিত রচনাবলী। কাজী ইমদাদুল হক ঢাকা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার জৈষ্ট্য পুত্র কাজী আনার”ল হক আমলা মন্ত্রী ও লেখক ও টেকনোক্রাফ্ধসঢ়;ট উপদেষ্টা ছিলেন।

তার লেখা দি থ্রি ফ্লাগ বইটি অত্যান্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ঢাকার প্রথম প্র্যাসিফিক হোটেল পূর্বানী তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। কাজী ইমদাদুল হকের ২য় পুত্র কাজী শামছুল হক এর ভাইরা ভাই ছিলেন রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি আবু সাঈদ। এই দেশ বরন্যে সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের বসত ভিটায় একটি পুকুর ছাড়া আর কিছুই নেই। ভিটায় বসবাসরত নুর”ল ইসলামের স্ত্রী বলেন স্মৃতি রক্ষার্থে কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি। উল্লেখ্য দেশ বিদেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য লোক কাজী ইমদাদুল হকের বসত ভিটা দেখতে আসছে। সুদুর আমেরিকা থেকে কিছুদনি আগেই লোকজন আসছিল তার বসত ভিটাটি দেখতে। তার বসত ভিটায় উপ পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে একদিকে সরকারী কোষাগারে মোটা টাকা জমা হবে অন্যদিকে সাহিত্য পিপাসু মানুষের মনের খোরাক মিটবে। প্রজাতন্ত্রের স্বার্থে কাজী ইমদাদুল হকের বসত ভিটা সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। এটাই এলাকাবাসীর দাবী।