সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ সরকারের পাশাপাশি শিল্পমালিকদের এগিয়ে আসতে হবে
“ÒSustainable Blue Economy for the Development of Bangladesh” শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশনে ‘ÔBlue Economy: Living & Non-Living Resources’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে মূল্যবান জীবিত ও জড়সম্পদের গবেষণা এবং উত্তোলনের পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা সমুদ্রের গ্যাস ও বালু সম্পদের পাশাপাশি মৎস্য-ঝিনুক- শামুক, শৈবালসহ যাবতীয় সম্পদ আহরণে উদ্যোগী হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মিয়ানমার একই সমুদ্রের সমান্তরাল ও ধারাবাহিক অংশে বিপুল পরিমাণ গ্যাসপ্রাপ্তির পর তা উত্তোলন এবং বিদেশে রপ্তানি করলেও বাংলাদেশ নির্লিপ্ত আছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। মিয়ানমার এত বিশাল পরিমাণ গ্যাসের অধিকারী হলেও বাংলাদেশ গ্যাসসহ অন্যান্য সম্পদ উত্তোলনে উদ্যোগ না দেয়ায় সমুদ্রের যথাযথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Department of Oceanography এর অধ্যাপক ড. কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। অন্যান্যের মধ্যে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের Marine Biological Research Institute এর ঝ.উ ড. সব্যসাচী মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ব্লু-ইকোনমি’ সেলের অতিরিক্ত সচিব ড. গোলাম শফিউদ্দীন এনডিসি প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন (Department of Petroleum & Mining Engneering অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম।
দিনব্যাপী ৪টি সেশনে দেশ-বিদেশের গবেষক, বিজ্ঞানী, অধ্যাপকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিগণ সম্মেলনে যোগদান করেন। মৎস্য প্রতিমন্ত্রী ব্লু-ইকোনমি অর্থাৎ সমুদ্র সম্পদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো কাজেই অর্থের অভাববোধ করেন না। কিন্তু আমাদের বাস্তবমুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। তাই এমন একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সমুদ্র সম্পদের ওপর প্রাপ্ত মতামত ও সুপারিশগুলো সরকারের যথাযথ ফোরামে পেশ করার মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
সমুদ্রে জড়সম্পদের পাশাপাশি প্রচুর জীবন্ত সম্পদ থাকলেও অনুসন্ধানী ও জরিপ জাহাজের গভীর সমুদ্রে যাবার সামর্থ্য না থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা গভীর সমুদ্রে যাবার এবং সম্পদ-আহরণের লক্ষ্যে উন্নতমানের জাহাজ আনার জন্য বারবার চেষ্টা করলেও যথাযথ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তিনি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গবেষণা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শিল্পমালিকদের সমুদ্র সম্পদ আহরণে ভূমিকা রাখতে এগিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।