পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় আরো ৩ ব্যক্তির মধ্যে কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট ১২ ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলো। এদিকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত সাংবাদিক তপন পাল ও তার পরিবারের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তারা এখন করোনা মুক্ত বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা জানান, বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের পিসিআর ল্যাবে এলাকার ৩ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরা হলো পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কপিলমুনি এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ আসলাম, একই এলাকার দুলাল চন্দ্র দাশ ও পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থানরত মারজান ঢালী।

একই দিন এলাকার প্রথম করোনা আক্রান্ত সাংবাদিক তপন পাল, তার স্ত্রী তৃপ্তি পাল ও তাদের দুই সন্তানের রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়। ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান, করোনা আক্রান্ত অনেকেই তথ্য গোপন করায় চিকিৎসা সহ সাধারণ মানুষ সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তিনি বলেন, সর্বশেষ যে ৩জন ব্যক্তির রিপোর্ট পজেটিভ আসে এদের মধ্যে মারজান ঢালীর বাড়ী কয়রা উপজেলার আমাদীতে সে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার নমুনা খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তার ফলোআপ রিপোর্ট হিসেবে পজেটিভ আসে। তখন আমরা অনুসন্ধান করে দেখি এর আগে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে এবং করোনা আক্রান্ত অবস্থায় তথ্য গোপন করে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।

এর ফলে হাসপাতালের চিকিৎসা সহ অনেককেই তিনি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। তথ্য গোপন না করে সচেতন হওয়ার জন্য অসুস্থ্য এবং করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা। এদিকে অত্র উপজেলায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত অবস্থায় এ পর্যন্ত ১২জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

বুধবারের আগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এরা হলেন, কপিলমুনি এলাকার সাংবাদিক তপন পাল ও তার স্ত্রী, প্রসেনজিৎ, কাশিমনগর এলাকার রামপ্রসাদ সেন, চাঁদখালীর শাহাপাড়া এলাকার রমজান আলী, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, রাড়–লীর শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোড়ল ও তার স্ত্রী হিমা বেগম, রাড়–লী গ্রামের পিকুল দাশ।