সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

ঢাকা, ৯ পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) এর লিখিত পরীক্ষা গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় এবং গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যা অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ‘লালমনিরহাট জেলায় রফিকুল ইসলাম পরীক্ষার পূর্বে ডিভাইসসহ গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যুগান্তর পত্রিকার একটি পেপার কাটিং যেখানে রফিকুল ইসলাম নামে একজন গ্রেফতার হয়েছেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে, যিনি রংপুর থেকে গ্রেফতার হন যার পিতা-মমিনুর রহমান, মাতা-নাসিমা বেগম, গ্রাম-সালন বালাগ্রাম, থানা-জল ঢাকা, জেলা-নীলফামারী। সংবাদে আরো উল্লেখ রয়েছে লালমনিরহাট জেলার লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম (রোল ৪১২৩৫৯১) পরীক্ষার দিন সকালে ডিভাইসহ গ্রেফতার হন’।
প্রকৃতপক্ষে লালমনিরহাট জেলা থেকে নির্বাচিত মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪১২৩৫৯১), পিতা মোঃ শামচুল হুদা, মাতা মোছাঃ সাহেরা খাতুন, গ্রাম-মহিসারি, পোঃ কাকিলা, উপজেলা- কালিগঞ্জ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। লালমনিরহাট জেলায় ডিভাইসসহ ১৩ জন ধরা পড়ে এবং তাদের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের তালিকায় মোঃ রফিকুল ইসলাম (রোল ৪১২৩৫৯১) এর নাম নেই এবং তিনি গ্রেফতারও হননি। এমনকি সংশ্লিষ্ট থানাসূত্র থেকে জানা যায় মোঃ রফিকুল ইসলাম (রোল ৪১২৩৫৯১) এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোনো থানায় কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশ যথানিয়মে হয়েছে। যাচাই-বাছাই না করে রংপুরে গ্রেফতারকৃত মোঃ রফিকুল ইসলামকে (নীলফামারী জেলার) লালমনিরহাট জেলার নির্বাচিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিসাবে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম সত্যকে তুলে ধরে। ভবিষ্যতে জনগুরুত্বপূর্ণ এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনে আরো সতর্ক ও যত্নবান হবার অনুরোধ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।