সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনা স্মার্ট করতে কাজ শুরু করেছে—-খাদ্যমন্ত্রী

দিনাজপুর, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) : সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনা স্মার্ট করতে কাজ শুরু করেছে। অ্যাপসের মাধ্যমে মিলারদের ক্রয় বিক্রয় ও স্টক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দ্রব্যমূল্য সহনশীল করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারেও এক নম্বর এজেন্ডা সেটা। সরকার চালের মূল্য সহনশীল করতে কাজ করছে। তিনি বলেন, মিল নেই, লাইসেন্স নেই এমন জায়গায়ও অবৈধ মজুত পাওয়া যাচ্ছে। দাম বাড়ানোর জন্য মিলমালিক, আড়তদার, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলো সবারই কিছু না কিছু দায় রয়েছে। সরকার লোন দিচ্ছে, বিদ্যুৎ দিচ্ছে তারপরও কেন মিলগুলো রুগ্ন হচ্ছে মিল মালিকদের এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, লোন নিয়ে যদি অন্য কোথাও লগ্নি করেন তাহলে মিল তো রুগ্ন হবেই।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় ধানের জাত ও সেই জাতের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিতে সম্মত হয়েছে। এটি হলে মিল গেটে বস্তার গায়ে মিলারদের দায়িত্ব হবে চালের যৌক্তিক দাম লেখা। আমরা নতুন আইনও করছি, শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিশেষ অতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, দিনাজপুরে ভালোমানের চাল উৎপাদন হয়। সরকারকে এখানকার ব্যবসায়ীগণ বরাবরই চাল সরবরাহ করে থাকে। তবে অবৈধ মজুত কেউ করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব লাইসেন্সবিহীন লোক মজুতদারি করছে তাদের নীতিমালার মধ্যে আনতে হবে। এসময় তিনি চালের ব্যবসায় সম্পৃক্ত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজরদারিতে রাখার অনুরোধ জানান।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তৃতা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। এছাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রংপুর মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।