সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্য কোনো সংকেত নেই

রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্য কোনো সংকেত নেই। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের বেলা ৩ টা ৩০ মিনিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ এ তথ্য পাওয়া গেছে। রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিঃমিঃ বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং গঙ্গা-পদ্মা স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, তৎসলগ্ন ভারতের মেঘালয় এবং গাঙ্গীয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে যার ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, মনু, খোয়াই, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার ও জাদুকাটা নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র–যমুনা নদ- নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে ৫০ টি স্থানে ও সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৯ টি স্থানে। সরকার গত ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বন্যাদুর্গত বিভিন্ন জেলায় ২৮ হাজার ৬৫০ মে. টন চাল, ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৮ হাজার কার্টন শুকনা খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে।