সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭শ’ ৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে -ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭শ’ ৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। ফণীর প্রভাবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সে লক্ষ্যে উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণী সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল এবং সরকারের প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদীনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় ১৯টি জেলায় ইতিমধ্যে ৪০৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্কুল কলেজগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান খুলনার আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ১ হাজার, সাতক্ষীরায় ৫০ হাজার ২২০, বাগেরহাটে ৪৩ হাজার ৪৩০, পিরোজপুরে ২৫ হাজার ২০০, বরগুনায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৩২৫, পটুয়াখালীতে ৩ লাখ ৫০ হাজার, বরিশালে ৮ হাজার ১২০, ভোলায় ১ লাখ ৯০ হাজার, নোয়াখালীতে ৯৪ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৫ হাজার, ফেনীতে ১৫ হাজার, চট্টগ্রামে ৫১ হাজার, কক্সবাজারে ১০ হাজার, ঝালকাঠিতে ১২ হাজার, চাঁদপুরে ৫ হাজার, শরীয়তপুরে ১৫ হাজার, মাদারীপুরে ৫ হাজার, গোপালগঞ্জে ৪ হাজার, ফরিদপুরে ৪ হাজার ৫শ’ অর্থাৎ মোট ১৯টি উপকূলীয় জেলায় ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭শ’ ৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালে সকলের জন্য পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ঔষধের ব্যবস্থা রাখা আছে। এছাড়াও গর্ভবতী নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নিরাপদে অবস্থান করার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যবস্থা আছে। রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।