প্রধান মেনু

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে — সাইফুজ্জামান চৌধুরী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ২২ মার্চ, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা (১৫ মার্চ, ২০১৯ তারিখে সংঘটিত) বিষয়ক ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় তাঁর বক্তব্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা এবং আইনি মাধ্যমে বিপজ্জনক ইসলাম-বিদ্বেষ এবং ইসলাম-ভীতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং সর্বাঙ্গীণ ধর্মীয় ঐক্যের ওপর জোর দেন।

মন্ত্রী নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান এবং নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তিনি জাতিসঙ্ঘের ছায়াতলে ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেন। ওআইসির বর্তমান চেয়ার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলুর আনুষ্ঠানিক আহ্বানে এবং সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালিত হয়। সভা শুরুর পূর্বে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বক্তব্য প্রদান করতে যেয়েও সন্ত্রাসবাদের বিপদ মোকাবিলা, ইসলাম-ভীতি এবং অমুসলিম দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণার মোকাবিলায় সমষ্টিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল ধর্ম, বর্ণ এবং বিশ্বাসের সহাবস্থানের বিধান রেখে দেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন। সভায় মন্ত্রী আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সকল ধরণের সন্ত্রাস এবং সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে আসছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে এবং দেখাশোনা করছে।

নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের অবিলম্বে সহায়তা প্রদান এবং মর্যাদা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের মন্ত্রী নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রশংসা করেন। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ, ইসলাম-বিদ্বেষ এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ইশতেহার গ্রহণের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি সভাটি শেষ হয়। এর আগের দিন ২১ মার্চ বিকেলে ওআইসি রাষ্ট্রসমূহের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে ইশতেহারটি চূড়ান্ত হয়। ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল ওথাইমেন সভায় উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটারসও সভায় উপস্থিত ছিলেন।