সকল সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব — পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

রাঙ্গামাটি, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি): পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে যদি আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখা যাবে। পাহাড়িদের সংস্কৃতির সাথে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের সংস্কৃতি ও চেতনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু এদেশের মাটি, আকাশ, বাতাস সবকিছুই আমাদের সকলের। এখানে কোন পার্থক্য নেই। তাই বলছি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচার –ব্যবহার আলাদা হলেও দেশ ও দেশের মাটি এক।
আজ রাঙ্গমাটি বীর মুক্তিযোদ্ধা চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত চট্টগ্রাম পাহাড়ি ৩ জেলার ১৬ সম্প্রদায়ের পরিবেশনায় ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি প্রকাশ না করি, মানুষকে যদি জানতে না পারি তাহলে এগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের খাবারের সাথে অনেকে পরিচিত নয়। তাদের জন্য এধরনের ফেস্টিভ্যাল আরো বেশি বেশি করে আয়োজন করা দরকার। তাহলে আমাদের অতীত সর্ম্পকে সারা দেশের মানুষের কাছে ধারণা জন্ম নেবে, এবং তারা আমাদের সংস্কৃতি ও খাবারের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবে।
ফেস্টিভ্যালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা’র সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি রাঙ্গামাটি জেলার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি, রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক করিম, অঙঋঅ-এর প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ্ আল হাসান, পার্বত্য জেলার সংগীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার মনোজ বাহাদুর গূর্খা ও রুম্পা ম্রো বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আলমগীর হোসেন। মনোজ্ঞ এ অনুষ্ঠানটি ১২ জন অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অংশ নেন।