প্রধান মেনু

সকল শ্রেণি পেশার মানুষের বন্ধুত্বের আঁচলে বাঁধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

রংপুর, ২০ মাঘ (৩ ফেব্রুয়ারি): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে,  মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে কর্মসংস্থানের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। এবার আমাদের মানুষ কাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমাদেরকে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ‘রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মোঃ আকবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান, পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু হেনা মোঃ রেজওয়ানুল করিম, রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বাবুল, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডাক্তার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রংপুরে মেরিন একাডেমি হয়েছে, অনেকগুলো ইউনিভার্সিটি হয়ে গেছে, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি হচ্ছে, চিলমারীতে আন্তর্জাতিক নদীবন্দর হচ্ছে, শিপ পার্সোনেল ইনস্টিটিউট হতে যাচ্ছে। এই যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে- এটা ধরে রাখার জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য সেমিনার-সিম্পোজিয়ামগুলো খুবই বেশি প্রয়োজন। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসবে আমরা কোন পথে হাঁটবো। একটি সরকার প্রত্যেকটি মানুষের কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে উপকার করতে পারে না; সম্ভব নয়। সরকারের দায়িত্ব পথ তৈরি করা এবং করে দেওয়া।  যে পথ দিয়ে মানুষ হাঁটবে। আজকে ব্যবসাবান্ধব, শিক্ষা, শ্রমিক, কৃষি, ছাত্র, নারীবান্ধব প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান সেখানেই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের বন্ধুত্বের আঁচলে বাঁধা শেখ হাসিনা। কাজেই এই নেতৃত্বকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। অন্ধকার থেকে আলোর পথে আমাদেরকে তুলে এনেছেন  তাঁরই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা। কারণ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি বিজয়ী হওয়ার জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি রাজনীতি করেন আগামী প্রজন্মকে আলোর পথ দেখানোর জন্য। তিনি সেজন্য ২০০৮ সালে ২০২১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দিয়েছিলেন। ২০৪১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দিয়ে থেমে থাকেননি। তিনি বদ্বীপ পরিকল্পনা দিয়েছেন। কাজেই এই নেতৃত্বকে কাজে লাগাতে হবে। রংপুর বিভাগের ব্যবসাবাণিজ্য ও শিল্পকারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রংপুরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।