শ্রম মন্ত্রণালয়ের তহবিল হতে সাত হাজার গার্মেন্টস শ্রমিককে ৯৩ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান

ঢাকা, ৩ আষাঢ় (১৭ জুন) : শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় তহবিল হতে সাত হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক, শ্রমিকদের স্বজন, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিক এবং শ্রমিকদের সন্তানের শিক্ষা সহায়তা হিসেবে প্রায় ৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের ১৪তম বোর্ড সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, শ্রম আইনের আলোকে ২০১৬ সালে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলে এ পর্যন্ত ২৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসের মোট রপ্তানি মূল্যের দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি এ তহবিলে জমা হয়।
এ তহবিল থেকে মৃত্যুজনিত কারণে ৪ হাজার ১৮৮ জন শ্রমিকের পরিবারকে ৮৩ কোটি ৪০ লাখ, চিকিৎসা বাবদ ২ হাজার ৭৬ জন শ্রমিককে ৬ কোটি ১৩ লাখ এবং শিক্ষা সহায়তা হিসেবে শ্রমিকের ৭৩৬ জন সন্তানকে ১ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহায়তা প্রত্যাশী শ্রমিক এবং তাদের স্বজনগণ আবেদন করলে দ্রুতই যেন সহায়তার টাকাটা পান সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। কোনো প্রকার অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। কেন্দ্রীয় তহবিলের কার্যপরিধি বৃদ্ধি এবং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে কয়েকটি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেন।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় তহবিলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. সেলিনা বকতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার চক্রবর্তী, বিজিএমইএ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মান্নান কচি, বিকেএমইএ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান এবং শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনিসহ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল এর বোর্ড সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী করোনাকালীন গঠিত ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির কার্যক্রমের ওপর প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন এর মোড়ক উন্মোচন করেন।