নিজস্ব প্রতিবেদক : শোকাবহ ১৫ আগষ্টের প্রাক্কালে খোদ সরকার দলীয় একজন প্রভাবশালী এমপি ও তার সমর্থকদের রোষানলের কবলে পড়ে, জাতির জনকের ছবিসহ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের ছবি’র প্রতি চরম অবমাননা করা হয়েছে।
সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-১৪ আসনের নির্বাচনী এলাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সম্ভব্য প্রার্থী এবং মনোনয়ন প্রত্যাশী, প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আশির্বাদধন্য বিশিষ্ট্য রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক এবং দৈনিক বাংলাদেশ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রকাশক ও সম্পাদক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এ, কে, এম মতিউর রহমানের ১৫’র আগষ্টের শোকবাণী এবং পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছাবাণী সম্বলিত প্রায় দুই শতাধিক ফেস্টুন ছিড়ে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা-১৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা কল্যাণপুর, দারুস সালাম রোড, গাবতলী এলাকা, মাজার রোডসহ মিরপুর-১ নম্বর হযরত শাহ আলী (রহ.) মাজার শরীফ এলাকার এ, কে, এম মতিউর রহমানের প্রায় দুই শতাধিক ১৫ আগষ্টের শোক ও ঈদ শুভেচ্ছাবাণীর ফেস্টুন গুলো ছিড়ে তছনছ করে ফেলে দেয়া হয়েছে।
ওই সকল স্থানে ঢাকা-১৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আসলামুল হকের ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। জাতির জনক, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পুত্রের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন গুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে থাকায়, সেগুলো পথচারীদের পদপিষ্ট হচ্ছে। চলন্ত গাড়ির চাকায় জড়িয়ে উড়ে যাচ্ছে যত্রতত্র।
অবস্থাদৃষ্টে সাধারণ মানুষ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এমন দৃশ্যও দেখতে হচ্ছে। নিজ দলের মধ্যে যদি সম্মান বা শৃঙ্খলাবোধ না থাকে, তাহলে অন্যদলের লোক কি করতে পারে? তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
সরকার দলীয় বর্তমান একজন এমপি যদি তার লোকজন দিয়ে জাতির পিতা, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পুত্রের ছবির এমন ন্যাক্কার জনক অবমাননা করতে পারেন, তাহলে শ্রদ্ধা আর সম্মান প্রদর্শন করবে কে? প্রশ্নটি সচেতন মহলের।
অনেকে মন্তব্য করে বলেন, এ, কে, এম মতিউর রহমানের ফেস্টুনগুলোর আশেপাশে পর্যাপ্ত জায়গা ছিল। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে, তার ব্যানার, ফেস্টুনগুলো সেই সকল স্থানে প্রদর্শন করতে পারতেন। তিনি প্রতিহিংসা বা আক্রোশের প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে, নিজ দলকে পক্ষান্তরে অসম্মান করেছেন। ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন, জাতির পিতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর পুত্রের ছবিগুলোর প্রতি।
শোকাবহ ১৫ আগষ্টের প্রাক্কালে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতার ছবিসহ দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পুত্রের ছবির প্রতি এহেন অসম্মান জনক আচরণ, গোটা জাতিকে ব্যথিত এবং লজ্জিত করেছে বলে মত প্রকাশ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।