শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন আওমীলীগের প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম জয়ী

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ১৭জানুয়ারি ২০২১ঃ দু-একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসব মূখর ও শান্তিপূর্ন ভাবে শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে আওয়ামীলিগের নৌকা প্রতীক নিয়ে কাজী আশরাফুল আজম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১০,৮৮৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ›দ্ধী আওয়ামীলিগ থেকে সদ্য বহিস্কৃত সতন্ত্র জগ মার্কা প্রতীকের প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান পেয়েছেন ৭,২৮১ ভোট, বিএনপি প্রার্থী পেয়েছে ১৫৬৯ ও লাংগল প্রতিকের প্রার্থী পেয়েছে ১৯২ ভোট।জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এছাড়াও ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের মধ্যে এক কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হওয়ায় ৮টি কেন্দ্রের ১নংওয়ার্ডে মহিদুল ইসলাম, ২নং খন্দকার রাকিবুল ইসলাম ৩নং নাহিদ হোসেন, ৪নং মাজেদুল হক চোকা ৫নং মুছা খান, ৬নং বকুল বিশ্বাস, ৭নং মোজাহারুল ইসলাম, ৯নং মহিদুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এর মধ্যে ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডে সুলতানা জাহান বেনু, ৪,৫ ও ৬ নং আঞ্জুয়ারা বেগম ও ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে জয়নব বেগম বেসরকারী ভাবেনির্বাচিত হয়েছে।
শনিবার উৎসব মুখর পরিবেশে ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। একটি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) তৈয়বুর রহমানের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও বাকি ১৪ কেন্দ্রে কোনো ধরনের অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনি। অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। সকাল থেকেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল।
সকাল ৮টায় থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীন বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের কঠোর তৎপরতায় দু-একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের পরিবেশ ছিলশান্তিপূর্ন। শৈলকুপায় কোন নির্বাচনে এই প্রথম বারের মত ইভিএম প্রদ্ধতিতে ভোট গ্রহন আনুষ্ঠিত হল।প্রথম বারের মত ইভিএম ভোট দিয়ে অধিকাংশ ভোটার সন্তষ্টি প্রকাশ করেন।
কোন রকম কারিগরি জটলিতা ব্যতিত ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, কাউন্সিলর পদে ৩৬ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করে। নয়টি ওয়ার্ডের ১৫ কেন্দ্রে ভোটার ২৮৬৩২ জন। নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুক্রবার থেকেই শৈলকুপা পৌর এলাকায় ১৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে দুই প্লাটুন বিজিবি, ৪শ পুলিশ এবং ১৩৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।