প্রধান মেনু

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচনে নৌকা পেতে এক ডজন আ’লীগ নেতাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচনে নৌকা পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের জেলা ও থানা কমিটির এক ডজন নেতা । আগামী মার্চে ভোট হচ্ছে ধরে নিয়েই তৈরি হচ্ছেন নেতারা। দলীয় মনোনয়ন পেতে নবনির্বাচিত এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছাকাছি ভিড়তে শুরু করেছেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আ’লীগের এক ডজন নেতা।

এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতী কে হবে ২০১৯ সালের মার্চে উপজেলা নির্বাচন। ফলে এবার ভোট নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে আছে বাড়তি আগ্রহ। যদিও ্একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়া শৈলকুপা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহে ভাটা পড়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার মোর্শারফ হোসেন সোনা। শৈলকুপায় আবার মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সোনা শিকদার।

তবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,ঝিনাইদহ চেম্বার অফ কমার্চ এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর পরিচালক,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম,ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি এবং শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য,শৈলকুপা ফাজিল মাদ্রাসা ও হেতামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ হিলাল উদ্দিন আহমেদের পুত্র এম.আব্দুল হাকিম আহম্মেদ শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য, ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুক্তার আহমেদ মৃধা,জেলা আইনজীবি পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি ও জজ কোর্টের পিপি এ্যাডঃ ইসমাইল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদকসরোয়ার জাহান বাদশা,এ্যাডঃ আজাদ রহমান শিকদার ও উপজেলা ভাইজ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিহাবউজ্জামান সিহাব মোল্লা সহ আরও কয়েকজন নেতা আগ্রহী উপজেলা ভোটে লড়তে।

নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার ও এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ, মুক্তার আহমেদ মৃধা সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন ফরম তোলেন। কিন্তু দলের প্রতীক পাননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়াকে কেন্দ্র করে শৈলকুপার স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে নায়েব আলীর বিরোধ ছিল চরমে। তবে নির্বাচনের মধ্যেই সেই বিরোধ মিটেছে। এক কাতারে এসে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। তবে শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা ভাইজ-চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শিমুল,বিশিষ্ট ঠিকাদার,কেসি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা সিহাব উজ্জামান সিহাব মোল্লা(সিহাব ভাইজ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী) সহ আরও দু-একজন এলাকায় সবার কাছে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে দোয়া চাইছেন।

গতবারের প্রার্থী শিকদার মোশারফ হোসেন সোনা এর পাশাপাশি মনোনয়নের দৌড়ে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু চেয়ারম্যানও মনোনয়ন চাইছেন।এ ছাড়াও উপজেলা নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন আরও কয়েকজন নতুন মুখ শৈলকুপার বর্তমান চেয়ারম্যান সোনা শিকদারকে মোকাবেলা করতে হবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম.আব্দুল হাকিম আহম্মেদসহ মুক্তার আহমেদ মৃধাকে। হাকিমের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুসম্পর্ক রয়েছে।

সে ক্ষেত্রে উপজেলায় আলোচনার শীর্ষে ও মনোনয়ন দৌড়ে সবার আগে আছেন তরুন এ আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাকিম। নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নের লড়াইয়ে ছিলেন। এবার তিনি উপজেলায় মনোনয়ন চাইবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপা থেকে চতুর্থবারের মত নির্বাচিত স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি রাখতে হয়।

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন নিয়েও আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। উপজেলায় প্রার্থী হতে চান, এমন দলীয় অনেক নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। অবশ্যই যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আমরা দলের কাছে সুপারিশ করব।’ জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন মার্চ থেকে উপজেলা নির্বাচন শুরুর ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও এলাকায় তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। তবে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নীরব। বর্তমানে সারাদেশে ৪৯৪ উপজেলার মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের দেড় শতাধিক উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন দুই শতাধিক। গত উপজেলা নির্বাচনে বেশিরভাগ এলাকাতে বিএনপি ও জামায়াত পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।

মার্চে উপজেলা নির্বাচন করতে হলে, জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোট হয়। সে সময় ছয় ধাপে ৪৮৭টিরও বেশি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে গতবার নির্দলীয়ভাবে উপজেলায় ভোট হলেও এবার হবে দলীয় প্রতীকে।

যেসব  উপজেলাপরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে ওই সব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন পরে সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাচনে – আগামী মার্চ মাস থেকে অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি জোট। দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম এর অভিযোগে ওই নির্বাচন বর্জন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোট। বিএনপি ও জোটের একাধিক নিভর্রযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।”