প্রধান মেনু

শৈলকুপায় পাউবো’র খাল দখলে প্রভাবশালীদের অবাধ বাণিজ্য

শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলায় পানি উন্নয়নবোর্ডের প্রধান সেচখাল দখলে চলছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবাধ বাণিজ্য। প্রাথমিক পর্যায়ে জায়গা দখল, পরে ঘর নির্মানের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে নেপথ্য চাঁদার পরিমাণ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবন জীবিকার তাগিদে উপজেলার কাতলাগাড়ী নতুন বাজারের প্রধান সেচখালে ভিতর পাশে গড়ে উঠেছে অন্তুত দু’শতাধিক অস্থায়ী দোকানপাট। এ ছাড়াও প্রধান সেচখাল জুড়ে খুলুমবাড়িয়া, শহীদনগর, লাঙ্গলবাঁধসহ বেশ কিছু এলাকায় গড়ে উঠেছে গ্রাম্য হাটবাজার। এক শ্রেণির দালাল চক্র কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে দোকানীদের দিনে দিনে গড়ে দিচ্ছে স্থায়ী পাকা স্থাপনা।

বদলে যাচ্ছে পানি উন্নয়নবোর্ডের সেচখালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। জানা যায়, পাউবোর কর্তৃপক্ষের দু’একজন অসাধু ব্যক্তির যোগসাজসে স্থানীয় দালালচক্র সেচখাল দখল করে ক্রমেই জায়গা দখল করে স্থায়ী পাকা দোকানঘর তৈরি করে নিচ্ছে। প্রথমে দালালচক্র রাজনৈতিক নেতা ও পাউবো কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে জায়গা দখলে সাহায্য করে, পরে ওই স্থানে পাকা স্থাপনা তৈরির জন্য ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে থাকে। লাঙ্গলবাঁধ বাজারের স্থাপনা বন্ধের পর চলতি সপ্তাহে কাতলাগাড়ী নতুন বাজারের দুই ব্যবসায়ী দালাল চক্রের হাত ধরে পাকা বিল্ডিং এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে তবে অভিযোগ চরমে ওঠায় পাউবো কর্মকর্তা বাপ্পী বিশ্বাস উক্ত কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া চরপাড়া খুলুমবাড়িয়া, শহীদনগর, লাঙ্গলবাঁধসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজাসংলগ্ন সেচখালগুলিও একইভাবে দখল হচ্ছে।

এতে পানি প্রবাহবাধগ্রস্থ এবং ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে দিনে দিনে খাল ভরাট হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ক্রমেই মাথাচারা দিচ্ছে দালাল গ্রুপ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা প্রভাবশালী এ চক্র প্রতিটি এলাকার হাট বাজার চষে বেড়ায়। তাদের সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের নিবিড় সখ্যতা আছে বলে চাউর করে প্রতি বছর এ খপ্পড়ে সর্বশান্ত হয় বহুক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে শৈলকুপা পানি উন্নয়নবোর্ডের শাখা কর্মকর্তা বাপ্পী বিশ্বাস জানান, অভিযোগ পেয়ে কাতলাগাড়ী বাজারে সদ্য নির্মিত পাকা স্থাপনা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খুলুমবাড়ীয়া, বানুগঞ্জ, লাঙ্গলবাঁধসহ বিভিন্ন এলাকার সেচখালের ভিতর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে খুব শিঘ্রই অভিযান চালানো হবে। খালের ভিতর স্থায়ী পাকা স্থাপনা তৈরিতে একদিকে খাল দখল অন্যদিকে সৌন্দর্য নষ্টসহ পানি প্রবাহে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।