শিনজো আবে বাংলাদেশের খাঁটি বন্ধু ছিলেন—-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশের খাঁটি বন্ধু ছিলেন। আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ড. মোমেন বলেন, শিনজো আবে’র আকস্মিক মৃত্যুতে সারা বিশ্বের ২৫৯টি দেশ ও সংস্থার পক্ষ হতে ১ হাজার ৭ শতাধিক শোকবার্তা প্রাপ্তি প্রমাণ করে- শিনজো আবে শুধু জাপানের একজন প্রথিতযশা নেতা নয়, বরং তিনি সারা বিশ্বের একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট অডিটোরিয়ামে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিনজো আবে’র আকস্মিক মৃত্যুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত শোকবার্তার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তায় বলেছেন- শিনজো আবের মতো একজন রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যু শুধু জাপানের জন্য ক্ষতি নয়, বরং তাঁর নেতৃত্ব, চিন্তা, স্বপ্ন ও প্রজ্ঞা থেকে সারা বিশ্ব বঞ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত শিনজো আবে’র স্ত্রী আকি আবে’র নিকট প্রেরিত শোকবার্তায়ও বলেছেন- শিনজো আবে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জনের প্রচেষ্টায় তিনি অবিচল সহযোগী ছিলেন।’
ড. মোমেন আরো বলেন, শিনজো আবে’র এই অসময়ে চলে যাওয়ায় বিশ্ব একজন অসাধারণ ও দূরদর্শী নেতাকে হারিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র ভূমিকা ও সহযোগিতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শিনজো আবেকে বিশেষভাবে মনে রাখবে। তাঁর মৃত্যুতে গত ৯ জুলাই একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনসহ গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সভায় এবং গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে এই অকৃত্রিম বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, প্রয়াত শিনজো আবে’র স্বজনদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ ও ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।