প্রধান মেনু

শিক্ষামন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ

ঢাকা, ২১ অগ্রহায়ণ (৫ ডিসেম্বর) : ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনিন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফ্ট ইনচার্জ জিনাত আক্তার এবং শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে বরখাস্তের সুপারিশ করেছে কমিটি। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এই প্রতিবেদনে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। একই সাথে এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়ম-অসংগতি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ নেই। এটি একটি বড় ধরনের অনিয়ম। নিয়মের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে, সেকশন খোলা হচ্ছে। শাখা খোলার অনুমোদন নেই। তারপরও তারা শাখা খুলেছে। তিনি বলেন, অরিত্রির বাবা যখন আবেদন নিয়ে আসে তখন তাদের সাথে ভয়-ভীতি দেখানো ও নির্দয় আচরণ করা হয়। বিষয়টি অরিত্রিকে নানাভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা করে। বাবা-মার অসম্মান মেনে নিতে পারেনি বলে তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে বলে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান, যার দায় কোনভাবেই তিনজন এড়াতে পারে না।

এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষামন্ত্রী স্কুলের গভর্নিং বডিকে এ তিনজনকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে। এছাড়া উক্ত তিনজন শিক্ষকের এমপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। জনাব নাহিদ আরো বলেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীকে মানসিক বা শারীরিকভাবে নির্যাতন করা যাবে না। এটি অপরাধ।

ব্রিফিংয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহম্মেদ, মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী ও নাজমুল হক খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।