প্রধান মেনু

শরীয়তপুরের উন্নয়নে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে — পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

পিছিয়ে পড়া জনপদ শরীয়তপুরের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। তাই তিনি মূল ভূখ- হতে বিচ্ছিন্ন নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়ন – চর আত্রা, নওপাড়া ও কাঁচিকাটাকে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়ি দিয়েছেন। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এই জেলার জন্য ৬০০ কোটি টাকার নানাবিধ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী আজ চর আত্রায় সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপমন্ত্রী বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমি যখন ওই চরে গণসংযোগে এসেছিলাম, তখন আপনাদের অন্যতম দাবি ছিল বিদ্যুৎ সংযোগ। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ভোটে জিতলে তিন মাসের মধ্যেই বিদ্যুতের আলো পৌঁছাব। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর অনুপ্রেরণায় ও তাঁর নির্দেশে আমি সেই প্রতিশ্রুতি আজ রক্ষা করতে পেরেছি। কারণ, আমরা স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখাই আর স্বপ্নের বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করি।’ উপমন্ত্রী বিকেলে নওপাড়ায় ও সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুর জেলা শহর বা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পার্শ্ববর্তী মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে অপটিকেল ফাইবার কেবলের (সাবমেরিন কেবল) মাধ্যমে নদীর ৮০০ মিটার অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন নেয়া হচ্ছে। ২০ কেভিএ সংযোগের ফলে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে ওই চরগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ৭০ হাজার পরিবার। পদ্মা ও মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা চরে প্রায় ৭০ বছর আগ থেকে মানুষের বসবাস শুরু। ওই চরের নওপাড়া ও চরআত্রা ইউনিয়ন পড়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ও কাঁচিকাটা ইউনিয়ন ভেদরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত।

বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য মোঃ আব্দুস ছালাম, জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন কবির মোল্লা প্রমুখ এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।