শব্দদূষণ রোধ না করলে মানুষের শ্রবণের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে—-উপমন্ত্রী

ঢাকা, ১১ আশ্বিন (২৬ সেপ্টেম্বর) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে প্রায় শতভাগ মানুষের শ্রবণে সমস্যা হবে। ড্রাইভাররা অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদেরও ক্ষতি করছে। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। একযোগে কাজ করতে পারলে আমরা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
আজ শব্দদূষণ রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশেষ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, শব্দদূষণের কারণে যে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা অনেকে জানে না। ড্রাইভারদের সচেতন করতে পারলে তারা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবে। তিনি আরো বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে, শব্দদূষণের কারণে দুই শতাংশ কর্মঘন্টা নষ্ট হয়, মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটে, প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম হয়, নবজাতকদের বিকাশে বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। নিজেদের টিকে থাকার জন্য, পরিবেশের মান উন্নয়নের জন্য শব্দ দূষণ রোধ করতেই হবে।
এসময় উপমন্ত্রী ড্রাইভারদের অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন এবং বিভিন্ন গাড়িতে শব্দদূষণ রোধে সচেতনতামূলক স্টিকার বিতরণ করেন।