লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন

লন্ডন, (১১ জানুয়ারি) : বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করল বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন।
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে আয়োজিত হয় একটি স্মারক অনুষ্ঠান এবং এক আলোচনা সভা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আগত ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন হাইকমিশনার। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ’৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দের জন্য এবং ’৫২র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর পর্যন্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ’১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পরিপূর্ণতা পায়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ দীর্ঘ ২৪ বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পর্বতপ্রমাণ বাধা অতিক্রম করে ইসলামিক পাকিস্তান থেকে মুক্ত করে বাঙালি জাতিকে উপহার দেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মমর্যাদাশীল দেশপ্রেম ও পররাষ্ট্র নীতিকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আজ জাতীয় সংসদে শপথ গ্রহণ করেছেন এবং জাতির পিতার আদর্শে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পানে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
হাইকমিশনার তাসনীম নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অসাম্প্রদায়িক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, প্রথিতযশা সাংবাদিক-কলামিস্ট সৈয়দ বদরুল আহসান এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আব্দুল আহাদ চৌধুরী।