লঞ্চডুবির দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা যাতে স্বস্তি পায়, আইনী বিচার পায় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আইনশৃংখলা বাহিনী মামলা করেছে। মামলার প্রতিবেদন ১৭ আগস্ট প্রকাশ হবে। আইনশৃংখলা বাহিনীর আইনী তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখিত দুর্ঘটনার কারণগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা যাতে স্বস্তি পায়, আইনী বিচার পায় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট। তদন্ত কমিটির ২০-দফা সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বুড়িগঙ্গায় নৌদুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের’ বিষয়ে এক ব্রিফ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার নিরাপদ নৌপথ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। নৌযান মালিক, শ্রমিক ও জনগণ সবার স্বার্থ দেখছে সরকার। ভেসেল ট্রাফিক সিস্টেম (ভিটিএস) চালুর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
ভিটিএস চালু ও ডিজিটালাইজড হলে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। জনগণের অনুভূতির সাথে তাল মিলিয়ে অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছরে দেশের অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় নৌ সেক্টরকে শৃংখলার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হয়েছে, অনেকটা শৃংখলার মধ্যে এসেছে। ভিটিএস, ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, প্রশিক্ষণ ভেসেল তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে একটি মেরিন একাডেমী ছিল। নতুন চারটি মেরিন একাডেমী করা হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে কাজ করা হচ্ছে। ঢাকা সদরঘাটের ওপারে ডকইয়ার্ড স্থানান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী তদন্ত কমিটির ২০-দফা সুপারিশ সাংবাদিকদের নিকট তুলে ধরেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম মোহাম্মদ সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুড়িগঙ্গা নদীতে ২৯ জুন সকালে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ঐদিনই সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) মোঃ রফিকুল ইসলাম খানকে আহবায়ক এবং বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌনিরাপত্তা) মোঃ রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়। তদন্ত কমিটি গতকাল তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।