প্রধান মেনু

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আবুল খায়ের ভূঁইয়ার বামনী ইউনিয়নে গণসংযোগ

মো: আবদুল কাদের, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়ার সমর্থনে ধানের শীষ প্রতীকের গনসংযোগে হয়েছে। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু হয় গনসংযোগ। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রায়পুর উপজেলার ৭নং বামনী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ১৪টি স্থানে গনসংযোগ করা হয়েছে। প্রথমে সকাল ৮ ঘটিকার সময় পূর্ব সাগরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যুবদলের নেতা বেলাল হাওলাদের’র নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা ৭নং বামনী ৯নং ওয়ার্ডে গনসংযোগ করেন।

এরপর বামনী ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ন ১৪টি স্থানে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয় করার লক্ষ্যে গনসংযোগ করেন। ধানের শীষের প্রার্থী আবুল খায়ের ভূঁইয়াকে প্রতিটি ওয়ার্ডে নেতা- কর্মীরা আবেগ প্লুত হয়ে মিছিলের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বরন করেনেন। আবুল খায়ের ভূঁইয়া ছাড়া ও অন্য প্রার্থীরা ব্যাপক উৎসব উদ্দীপনায় বিরামহীনভাবে গনসংযোগ করছেন। এই সময় বামনী ইউনিয়নে’র বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৪/১৫ হাজার নেতা-কর্মী গনসংযোগে করেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের উদ্যেশে আবুল খায়ের ভূঁইয়ার বলেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আগ পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠ ছেড়ে যাবেন না।

এ মিছিলে প্রমান করে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। যতরকম ষড়যন্ত্রই করুন না কেন কোন লাভ হবেনা। জনগন সঠিকভাবে রায় দিবেন বলে জানান তিনি। আওয়ামী সরকার ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করতে শুরু করেছে। গত কাল রাত্রে সদর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন যুবদলের নেতা রতনকে গ্রেফতার করেছে। আপনাদের ভোট কেন্দ্র আপনারাই রক্ষা করবেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীতে বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে ভোট কেন্দ্রে কোন জনগন যায়নি, ভোট কেন্দ্রে গরু ছাগল কুকুর ছাড়া আর কিছুই যায়নি। সরকার ছেয়েছে পাঁকা মাঠ গোল দিলে কিন্তু সেই সুযোগ আর দেওয়া যাবেনা।

আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে, এমনকি গুম-খুন হত্যা করেছে। আমাদের লক্ষ্মীপুর জেলার জামায়েত ইসলামের নায়েবে আমীর ডা: ফয়েজ আহম্মেদ,যুবদলের নেতা ইকবাল মাহমুদ সহ বিগত ১২ বছরে লক্ষ্মীপুরে ৩৭ জন নেতা-কর্মীকেহত্যা করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন,ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন জনগনকে ভোট দিতে দেয় নাই।

এমনকি সরকার নিজে ভোট দেয় নাই, নিজে ভোট করেনাই । ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা মেম্বার থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা সরকার পর্যন্ত কেউ ভোটে নির্বাচিত হয় নাই। ১৫৪ এমপি ভোট করেনাই নিজে ভোট দেয় নাই। বাংলাদেশের মানুষের ভোটাদিকার চিরতরে জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ভানোয়াট উদ্যেশ্য প্রনোদিত মামলা দিয়ে পরিতিক্ত একটি কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি একা আসামী একা কয়েদি তিনি ব্যাতিত কোন আসামী সেখানে নাই। নির্বাচনের অংশকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমরা নিয়েছি। ঐক্যজোট এবং ঐক্যফ্রন্ট নির্দলীয় ভাবে নির্বাচন করে ৩০ শে ডিসেম্বর অবৈধ সরকারের পতন গঠাবে।

সারাদেশে ধানের শীষের গণযোযার দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আওয়ামিলীগের অনেক ভাগা ভাগা নেতা ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে। আজকে খালেদা জিয়ার ধানের শীষের প্রতিক নিয়ে আজ নির্বাচন করছে তারা। ব্যাংক থেকে ২২ হাজার ৫ শত ২ কোটি টাকা চুরি করেছে। হল মার্ক, ডেসটিনি, শেয়ার বাজার সহ অনেক কোম্পানির টাকা লুট করে নিয়েছে। উক্ত গণসংযোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছাত্রদল,যুবদল,স্বেচ্চাসেবকদল,বিএনপি,এবং ঐক্যফ্রন্টে সহ বিভিন্ন রাজনৈতিবিদ,ব্যাবসায়ী,সাংবাদিক ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।