প্রধান মেনু

র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্প কর্তৃক ফরিদপুরের ভাংগা থানা হতে  বিকাশ প্রতারক চক্রের ০৫(পাঁচ) সদস্য গ্রেফতার। 

মোঃ মাহফুজুর রহমান বিপ্লব,ফরিদপুর প্রতিনিধঃ  র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, জঙ্গিবাদ দমন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব শুরু থেকে যে কোন ধরণের অপরাধী, অপহরণ, মাদক উদ্ধার, অপহ্নত ভিকটিম উদ্ধারসহ দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিভিন্ন প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করতে সার্বক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
 র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন মিয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় কিছু ব্যক্তি বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে। ঘটনা সত্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির পর র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ গভীর রাতে (১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯) ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানাধীন মিয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনা চক্রের ০৫ জন সক্রিয় সদস্য, ১। মোঃ রুবেল মাতুব্বর(৩০), পিতা- মোঃ দেলোয়ার মাতুব্বর ২। মোঃ ঠান্ডু শেখ (২৮), পিতা- মোঃ মজিদ শেখ ৩। মোঃ কামাল হাওলাদার(৩১), পিতা- মৃত শাহজাহান হাওলাদার, ৪। সামাদ মাতুব্বর(২৬), পিতা-সিদ্দিক মাতুব্বর, ৫। মোঃ ইমরান খান(১৯), পিতা-মোঃ হাবিব খান, সর্ব সাং- মিয়া পাড়া, থানা-ভাংগা, জেলা- ফরিদপুরদেরকে আটক করে।
এ সময় আটককৃত প্রতারক চক্রের হেফাজত হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ১৬টি মোবাইল সেট, ৪৬টি সীমকার্ড, ০৯ পিস ইয়াবা এবং ১,০০০/- টাকা জব্দ করা হয় । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ০৫ জন, বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতি পরায়ণ মোবাইল সীম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভূয়া নামে সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও উক্ত সীমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআর(বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এ্যজেন্ট) গণের মাধ্যমে ভূয়া বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলে।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এ্যজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে ঐসব ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সীমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট নিজেদেরকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেই এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস্ ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
  আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান আছে।