প্রধান মেনু

র্ঘুণঝিড় মোকাবলিায় প্রস্ততি সর্ম্পকিত তথ্য

ঢাকা, ৯ জ্যৈষ্ঠ (২৩ মে) : বঙ্গোপসাগরে  তৈরি হওয়া লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরণিত হয়ছে।আজ র্দুযোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশতি এক প্রতিবেদনে ২৩ মে সকাল ৯টা থকেে পরর্বতী ২৪ ঘণ্টার আওহাওয়ার র্পূবাভাসে বলা হয়ছে, ‘বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশকি মেঘলা আকাশসহ আওহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পার।

এদকিে সেটি   ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরতি হলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে সরকার।

□       ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়

  • বিপদ সংকেত ৮ বা তার বেশি হলে উপকূলীয় দ্বীপ কিংবা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে।
  • এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, পরিচয় পত্র, রেডিও, শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, দিয়াশলাই, টর্চলাইট, মোমবাতি ইত্যাদি অতি প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ সঙ্গে রাখতে হবে।
  • মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী ইত্যাদি যথসম্ভব নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে হবে।

□       শহরের জন্য সাবধানতা

  • আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানীতে ভারি বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া, বজ্রপাত ইত্যাদি হতে পারে।
  • ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ শহরে বেশিমাত্রায় না পড়লেও সাবধান থাকতে হবে ঘরের বাইরে চলাফেরায়। ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সচেতন থাকতে হবে। বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করার জন্য গৃহস্থালী বৈদ্যুতিক আসবাব ব্যবহারে সাবধান হতে হবে, সম্ভব হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে।
  • বাইরে চলাফেরার সময় বৈদ্যুতিক খাম্বা ও তার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া ঝড় বাতাসে উপড়ে যাওয়া গাছ, বৈদ্যুতিক খাম্বা এবং বাতাসে উড়ে আসতে পারে এমন যে কোনো বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
  • নিতান্তই নিরূপায় না হলে সব অঞ্চলের মানুষের উচিত হবে নিজ নিজ নিরাপদ বাসস্থানে অবস্থান করা।

□       আরো বিভিন্ন সাবধানতা

  • ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয়
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হওয়া। কোনো পেইজে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পোস্ট দেখে আতঙ্কিত না হয়ে টিভি অথবা এফএম রেডিও এর খবর শুনুন। বিপদে শান্ত থেকে সমাধানের চেষ্টা করাই আসল কাজ।
  • পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট, টর্চ লাইট এ চার্জ ফুল রাখুন। ব্যাকআপ হিসেবে মোমবাতি এবং লাইটার রাখা ভালো।

  • প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়রিয়া, জ্বরের জন্য স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।
  • বাসা টিনশেড হলে বা নিচ তলায় হলে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পানিরোধক বাক্সে টেপ এবং পলিথিন পেঁচিয়ে রাখুন। ফ্লোরে মাল্টিপ্লাগ রাখবেন না।
  • নিরাপত্তার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন লাইন বন্ধ থাকতে পারে। রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার সংগ্রহে রাখুন।
  • রেলিংয়ের ওপর ফুলের টব, কনস্ট্রাকশনের জিনিস বা এই ধরনের জিনিস নিরাপদ স্থানে রাখুন। খোলা জায়গায় কনস্ট্রাকশনের জিনিস রাখবেন না। বাসার পাশে নির্মাণাধীন ভবন থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
  • ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে করণীয়
  • রাস্তায় থাকলে শপিং মল, মসজিদ, স্কুল বা যে কোনো বিল্ডিং এ আশ্রয় নিন। কোনোভাবেই খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না।
  • জ্যামে পড়লে গাড়ির পাশে জায়গা রেখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন যেন বিপদের মুহূর্তে দরজা খোলা যায়।
  • বিল্ডিংয়ে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মেইন লাইন অফ করে দিন।
  • দরজা জানালা বন্ধ রাখুন যাতে বাইওে থেকে ময়লা বা ভারী কিছু উড়ে এসে আঘাত করতে না পারে।
  • টিনশেড বাসা বা নিচু জায়গায় হলে যদি নিরাপদ মনে না হয়, নিরাপদ কোথাও আশ্রয় নিন।
  • ফোনে রেডিও শুনতে হবে। ডেটা কানেকশন চালু রেখে ফেইসবুক স্ক্রল করলে ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হবে, নেটওয়ার্কও বেশি ব্যস্ত থাকবে।
  • কোনোভাবেই ট্যাপের পানি সরাসরি খাওয়া যাবে না। ফুটিয়ে বা ভালো ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে।
  • খুব বেশি জরুরি না হলে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না। ইলেকট্রিক শক খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
  • ফোনে কথা বলে নেটওয়ার্ক ব্যস্ত না রেখে এসএমএস ব্যবহার করে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করুন।