প্রধান মেনু

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে না যায়– স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

কক্সবাজার, ২৪ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা মিয়ানমারের নাগরিক। সেখান থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার জন্য মানবিক কারণে সাময়িকভাবে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে অবশ্যই  মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। আজ কক্সবাজারের উখিয়াতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী  বলেন, রোহিঙ্গাদের   কারণে   স্থানীয়রা   মানসিক   ও   পারিবারিকভাবে বিপর্যস্ত।  স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের   সার্বিক   সহযোগিতার   জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা-সহ দেশি বিদেশি এনজিওদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি রোহিঙ্গাদেরকে দ্রুত মিয়ানমারে   ফেরত   পাঠানোর   জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন এলাকায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত মিনিপাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন এবং উখিয়ার ময়নার ঘোনা   রোহিঙ্গা   ক্যাম্প-১২ এলাকায়  আইএমও পরিচালনাধীন সুপেয় পানির পাম্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এছাড়াও তিনি ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন এলাকায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ইমার্জেন্সি এসিসট্যান্স প্রকল্প’ এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার-সহ বেশ কিছু রাস্তা ও স্থাপনা উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী রোহিঙ্গা শিবিরের বেশ কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা বলেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র  সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত শরণার্থী,  ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন   কমিশনারদ্বয়   শামসুদ্দোজা ও মিজানুর   রহমান, অতিরিক্ত   জেলা   প্রশাসক   এসএম সরওয়ার   কামাল,  উখিয়া  উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা  আমিমুল   এহসান   খান-সহ বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আইওএম, আইএমও, ইউনিসেফ ও অন্যান্য দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, ক্যাম্প ইনচার্জ ও এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।