প্রধান মেনু

রেলভূমিতে বসবাসকারী বাস্তুহারাদের মাথা গোজার ঠাঁই রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে বাস্তুহারা সমিতি- সৈয়দপুর পৌর মেয়র

নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রেলভূমিতে বসবাসকারী ছিন্নমূল বাস্তুহারা লোকজনের মাথা গোজার ঠাঁই রক্ষায় কাজ করছে বাস্তুহারা সমিতি। রেলওয়ের জমি দখল করে অট্টালিকা নির্মাণকারী ভূমিদস্যুদের আখের গোছানোর সহযোগী হতে আন্দোলন করছেনা।

দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবত এ আন্দোলন চলে আসছে। যার ফলে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রমের সুফল স্বরুপ দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধানের একটা পথ তৈরী হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রকৃত ভূমিহীন মানুষদের কাছে তাদের নির্মিত বসতবাড়ীর সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান পূর্বক আবেদনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে নির্দিষ্ট আবেদন পত্রের মাধ্যমে আবেদনের মধ্য দিয়ে রেলভূমিতে বসবাসকারীদের একটি তালিকা প্রনয়ন হওয়ার পরই যার যার অবস্থানে বন্দোবস্ত প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস পাওয়া গেছে।

এজন্য অতিদ্রুত রেলভূমিতে বসবাসকারীদের আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে সৈয়দপুর বাস্তুহারা সমিতির উপদেষ্টা ও সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধায় পৌরসভার অধিবেশন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পৌর মেয়র এ আহ্বান জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাস্তুহারা সমিতির সভাপতি ও পৌর ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিক আজিজ, সাধারণ সম্পাদক শাহ জাহিদুল হাসান জুয়েল, পৌর প্যানেল মেয়র-১ জিয়াউল হক জিয়া, প্যানেল মেয়র-২ শাহিন আকতার শাহিন সহ সকল কাউন্সিলরবৃন্দ ও সংবাদকর্মীগণ।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার আরও বলেন, আবেদন করার মাধ্যমেই বেড়িয়ে আসবে প্রকৃত ভূমিহীন ব্ধসঢ়;াস্তুহারা কারা। কেননা এক নামে একাধিক স্থান উল্লেখ পূর্বক আবেদন করা হলে তা গ্রহণ যোগ্য হবেনা। অথচ সৈয়দপুরে অধিকাংশ ব্যক্তি যারা রেলওয়ের ভূমি দখল করে অট্টালিকা নির্মানের মাধ্যমে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। যারা সিংহভাগই কোটি পতি।

অথচ একটি অপগোষ্ঠি সেই ভূমিদস্যুদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছেন। তিনি প্রশ্ন করেন কার অধিকার, কিসের অধিকার, কেমন অধিকার এ ব্যাপারে সংবাদকর্মীদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, আশার আলো দেখা দিয়েছে। এখন এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে সুষ্ঠু সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

এ ব্যাপারে বাস্তুহারা সমিতি রেলপথমন্ত্রী এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজনের সাথে সাক্ষাত করে “নীলফামারী জেলার অন্তর্গত সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ের পতিত জমিতে বসবাসরত বাস্তুহারাদের উচ্ছেদ না করে তাঁদের মাঝে স্বল্পমূল্যে অথবা দীর্ঘমেয়াদী ইজারায় জমি প্রদানের সুবন্দোবস্ত করণ প্রসঙ্গে” বিষয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। একইভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ রেলওয়ের এস্টেট অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (পাকসী বিভাগ) সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতেই মূলতঃ এ ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদের পরিবর্তে এ ধরণের উদ্যোগ।

আশা করি এর মাধ্যমে একটা স্থায়ী সমাধান আসবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র জানান, জমি বন্দোবস্ত গ্রহণের জন্য পাকসী থেকে আবেদন সংগ্রহ করতে হবে। তবে আমরা চেষ্টায় আছি সৈয়দপুর থেকে এ আবেদন পত্র প্রাপ্তির ব্যবস্থা করার জন্য। তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে যেন পার্বতীপুর থেকে আবেদন পত্র পাওয়া যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।