রূপকল্প ’৪১ বাস্তবায়নে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই — শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর) : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি বলেছেন, একটি দেশের জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক কাঠামো অনুযায়ী কর্মক্ষম জনসংখ্যা যখন নির্ভরশীল জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায় তখন সে দেশে একটি সুযোগের সৃষ্টি হয়, যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি সাধন করা যায়। জনমিতির ভাষায় এই অবস্থানকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলে আখ্যায়িত করা হয়। তবে এর সুবিধা পেতে হলে সঠিক বিনিয়োগ দরকার। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে এই সুযোগ এক পর্যায়ে দেশের জন্য বিপর্যয় হয়ে দেখা দেবে। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী বেড়ে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে যাবে, খরচ বাড়বে, সঞ্চয় কমবে এবং বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়বে।
ভিশন-২০২১, এসডিজি লক্ষ্য অর্জন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং ভিশন- ২০৪১ অর্জন করতে তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তাই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই। মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি প্রফেসর ড. এফ আর পেট্রিক ডি জেফনি, সি এস সি (Professor D. F. R. Patrick D. Gaffney, C.S.C) এর সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিংস কলেজ ইউএস এর প্রেসিডেন্ট ড. এফআর থমাস জে. ও হারা সিএসসি (Dr. Fr. Thomas J. O’ Hara CSC)।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার আর্চ বিশাপ এইচ ইএম কার্ডিনাল পেট্রিক ডি রোজারিও, সিএসসি। মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে একদিকে যেমন দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক তৈরি করতে হবে তেমনি তাদের মানবিক গুণাবলি ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতেও সক্ষম হতে হবে। শিক্ষাঙ্গন ও শিল্পের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারলে আমরা স্নাতকদের ও চাকরিদাতাদের পারস্পরিক প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যেও দূরত্ব দূর করতে পারবো। শিক্ষাঙ্গনকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ এবং যে কোনো ধরনের নির্যাতন, নিপীড়নমুক্ত রাখতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার ও অভিভাবকদের সজাগ, সতর্ক ও সক্রিয় থাকতে হবে এবং সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন হয়ে ওঠে জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সুকুমার বৃত্তি চর্চার পীঠস্থান।’