প্রধান মেনু

রায়পুরে বৃদ্ধকে গৃহবন্ধী করে জমি দখলের চেষ্টা

 রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ৯নং ইউনিয়নের বেপারীর চর গ্রামের আবদুর রহমান হাওলাদার বাড়ির বৃদ্ধ হাজী আবদুর রহমান (৯০) কে গৃহবন্ধী করে ২ একর জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর আপন ভাতিজা নূর আলম জিকু হাওলাদার, আন্জমা বেগম, মনির হোসেন, মঞ্জুর হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন’র বিরুদ্ধে। আইয়্যামে জহেলিয়াতের যুগকেও হার মানাবে এই বর্বরতার নির্যাতনকে। গত (১ মে) মঙ্গলবার বৃদ্ধ চাচার ঘরের চারপাশে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে ও মাটি খনন করে গৃহবন্ধী করে রেখেছে ৯০ বছরের এই বৃদ্ধ ও তার স্ত্রী আয়েশা বেগমকে।

আব্দুর রহমানের আপন ভাতিজা জিকু এবং তারা ভাইরা মিলে ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চাচাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হত্যার হুমকি দিয়ে জমি দখল করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ দিকে অভিযুক্ত জিকু বলেছেন গৃহবন্ধী নয় নিজেদের সম্পত্তি রক্ষায় সীমানা দিয়েছেন তারা । আবদুর রহমান হাওলাদরের স্ত্রী আয়েশা বেগম জানান, আমার শশুরের সব ওয়ারিশি সম্পত্তি আমার স্বামীর আপন বড় ভাই মৃত মজিদ হাওলাদার ১৯৮৬ সাল থেকেই জোর পূর্বক নিজ নামে ভূয়া রেকর্ড করে ভোগ দখল করে আসছে। এবং বিভিন্ন সময় ধরে তাদের উপর অন্যায় ভাবে জুলুম অত্যাচার করে আসছে।

এখন তার ছেলেরাও আমাদের উচ্ছেদ করে দিচ্ছে। সরে জমিনে গেলে হাজী আবদুর রহমান হাওলাদার জানান, ওয়ারিশ সম্পত্তি কোন ধরনের ভাগ বন্টন ছাড়াই তার ভাতিজা নূর আলম জিকু হাওলাদার গং দলবল নিয়ে জোর পূর্বক দখল করে আসছে। বর্তমান রেকর্ড সংশোধন করার জন্য কোর্টে মামলাও রয়েছে। তবে তারা আদালতের রায়ের পূর্বেই দখল শুরু করে দিয়েছে। এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন বন্টন ছাড়া প্রায় ১ কোটি টাকার সম্পত্তি জোর করে পূর্বে থেকেই দখল করে আসছে। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বগর্কে এই বিষয়ে কয়েকবার জানালেও কোন ধরনের সুফল পাওয়া যায়নি। ক্ষমতার জোরে তারা আমাদের উপর জুলম অত্যাচার করছে।

আমি এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টে ১৯৯৫ ও ১১৯৯ সালে দুইটি দেওয়ানি মামলা করেছি। এখনো মামলা নিঃপত্তি হয়নি। আদালতে মামলা চলছে, তবে রায়ের পূর্বেই আমাদের জমি দখল করে আমাদেরকে গৃহহারা করার পায়তারা চালাচ্ছে। অভিযুক্ত জিকুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে এ বিষয়ে মিমাংসা হয়েছে। আমার চাচা কোন জমি পাবে না। আর যদি পায় তবে কাগজ দেখিয়ে নেক। আমরা জোর করে তার জমি দখল করব কেন।

আমার বাবার পাওনা সম্পত্তি দখল করেছি। ৯নং চরআবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে সমাধান করার জন্য উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এর পর কি হয়েছে আমার জনা নাই। আর বাড়ির চারপাশে ঘেরাও করার বিষয়টি দুঃখজনক। তারা আমাকে জানিয়েছে এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকেও জানাবে। তিনি হয়তো একটা ব্যবস্থা নিবেন। আর আদালতেও তাদের মামলা চলছে।