রায়পুরে কালবৈশাখী ঝড়ে বিপাকে সয়াবিন চাষিরা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ ‘‘নারিকেল-সুপারি আর সয়াবিনে ভরপুর আমাদের আভাস ভূমি প্রিয় লক্ষ্মীপুর”। এ প্রবাদ স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, লক্ষ্মীপুরে নারিকেল-সুপারি ও সয়াবিন খুব বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে। এসব অর্থকারী ফসল আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে নারিকেল, সুপারী, আর ধানের সঙ্গে চাহিদা মিটাতে যোগ হয়েছে সয়াবিন।
মেঘনা উপকূলবর্তী লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চরইন্দুরিয়া, চরজালিয়া, চরঘাসিয়া, চরকাছিয়া ও কানীবগার চরের কয়েক হাজার একর জমিতে সয়াবিনের চাষ হয়ে থাকে। বিস্তির্ণ চরাঞ্চলে এবারও সয়াবিনের প্রচুর পরিমান ফলন হয়েছে এখানকার পাঁচটি বড় চরে এখন যতদূর চোঁখ যায় সয়াবিনের সবুজ মাঠ হাতছানি দিয়ে ডাকে।
এতে দারুণ উচ্ছাসিত স্থানীয় কৃষকেরা। ধান ও নারিকেল-সুপারির পাশাপাশি চতুর্থ প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে রায়পুরে সয়াবিনের চাষাবাদ দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে রায়পুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও পাঁচটি চরে সয়াবিনের চাষ হয়। স্থানীয় কৃষকেরা মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরইন্দুরিয়া, চরজালিয়া, চরঘাসিয়া, চরকাছিয়া ও কানিবগার চরের হাজার হাজার একর জমিতে সয়াবিন চাষ করছেন। এসব চরের মাটি দোআঁশ জাতীয় হওয়ায় একবার লাঙ্গল চালালেই তা সয়াবিন চাষের উপযোগী হয়ে উঠে। লাভ ও ভালো হয়। সে জন্য কৃষকরা দিন দিন সয়াবিন চাষে ঝুঁকছেন।
তবে গত বছর অতি বৃষ্টি হওয়ার কারনে সয়াবিন ঘরে তুলতে পারেনি অনেক কৃষকেই। তবে এই বছর হঠাৎ ঝড় ও অতি বৃষ্টির কারণে বিপাকে আছেন এখানকার সয়াবিন চাষীরা। স্থানীয় কয়েক জন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর অতি বৃষ্টির কারণে আামরা কোন সয়াবিন ঘরে তুলতে পারি নাই। তবে এই বছর পারবো কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। গতবছর আমাদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আমরা কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি।