প্রধান মেনু

রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে বিলীন বিড়ম্বনায় এলাকাবাসী

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ২৭সেপ্টেম্বর ২০২০ঃ ঝিনাইদহে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত অর্ধশতাধিক রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে বিলীন হচ্ছে। অথচ দেখার কেও নেই। এ সকল রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচল। অথচ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি
পুকুরের আগ্রাসনে হারিয়ে যেতে বসেছে। ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষদেরকে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। রাস্তা পুকুরে মিশে যাওয়ার ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষের। যে কোন সময়ে রাস্তাগুলি পুকুরে বিলীন হতে পারে।

এছাড়া এসব এলাকার শত শত শিক্ষার্থী, কৃষক,ব্যবসায়ী এ সকল সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করে। রাস্তা নির্মানের সময় পুকুরের ভাঙ্গন রোধে পাইলিং না করায় অল্প দিনে অনেক রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলার বহু রাস্তা পুকুরের পাশ দিয়ে নির্মিত। প্রথম ২/১ বছর রাস্তাগুলো ভাল থাকলেও পুকুরের ভাঙ্গন শুরু হলে ধীরে ধীরে রাস্তাগুলো পুকুরে বিলীন হয়। এলজিইডির প্রকৌশলীরা বলছেন, গ্রামীন এ সব রাস্তা তৈরীর পর টিআর কাবিখার আওতায় ইউপি চেয়ারম্যানদের রক্ষনাবেক্ষনের বিধান রয়েছে। গ্রামীন এ সব রাস্তার ভাঙ্গন রোধে সরকারী কোন অর্থ বরাদ্দ থাকে না। ফলে এলাকার চেয়ারম্যানদেরকেই রাস্তার ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ চেয়ারম্যানই এ ব্যাপারে উদাসিন। ঝিনাইদহের সদর উপজেলার হলিধানী থেকে খাড়াগোদা ভায়া বাজারগোপালপুর রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পুকুর রয়েছে। এ সব পুকুরের মধ্যে রাস্তাগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। সদরের বংকিরা স্কুল মোড় থেকে হাজরা গ্রাম পর্যন্ত ও বংকিরা গ্রামের মাহবুব মাষ্টারের বাড়ির কাছের রাস্তা পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে।

আসাননগর গ্রামের মধ্যেও তমরেজের বাড়ির কাছের রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে পড়েছে। আসাননগর গ্রামের আল আমীন জানান, শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পুকুরে মিশে যেতে বসেছে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। রাস্তা ও পুকুরের গাইড ওয়াল না দেয়ার কারণে যে কোন সময়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।এ ভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীন রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে বিলীন হচ্ছে বলে অভিযোগ।

হলিধানী গোপালপুর সড়কে প্রতিদিন শত শত ছোট বড় যানবাহন মৃত্যু ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। হলিধানীর মেম্বার তাইজুল ইসলাম জানান, ব্যাস্ত এই রাস্তাটি খানাখন্দে ভরপুর। বিশেষ করে হলিধানী মাদ্রাসার পুকুরে রাস্তাটি বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে মানুষ।এ ব্যাপারে হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি বলেন, রাস্তা সংস্কার ও পুকুরের অংশে গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

আশা করছি রাস্তাটি সচল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।দ্রুত রাস্তটি মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দাবী জানিয়েছেন। গাইড ওয়াল নির্মাণের মাধ্যমে যাতায়াতের রাস্তাগুলি পুনরুদ্ধারের জোর দাবি জানান তিনি।ঝিনাইদহ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন,পুকুরের মালিক পক্ষের পাড় নির্মানের গাভিলতির কারনেই এমনটি হচ্ছে।

এ সব প্রকল্পে বর্তমানে কোন বাজেট নেই।পুকুরের অংশে গাইড ওয়াল নির্মাণ রাস্তা সংস্কারের প্রকল্প উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আশা করছি প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে গাইড ওয়াল নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কার করা হবে।