রাশিয়া ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে —বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেলে বিশ্ববাণিজ্য প্রসারের জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) করার বিকল্প নেই। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে, এর তিন বছর পর এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধাগুলো আর থাকবে না।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। রাশিয়া-সহ সিআইএসভুক্ত দেশসমূহ এবং ব্রাজিল-সহ মারকসভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা আছে। এ সকল বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি সম্ভব হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। উচ্চ শুল্কহারের কারণে বাংলাদেশ এ সকল দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পাচ্ছে না। এফটিএ স্বাক্ষর করা সম্ভব হলে সেখানে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় একটি হোটেলে কমনওয়েল্থ অভ্ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেট- বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিআইএস-বিসিসিআই) আয়োজিত ‘ফোস্টারিং গ্লোবাল ফ্রি ট্রেড রিলেশনস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ব্রাজিল-সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বাণিজ্য শুরু করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। এর চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এ সকল দেশের পাশাপাশি শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভুটানসহ বেশ কিছু দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ব্রাজিল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিতে চায়, তবে তারা ব্রাজিলের গরুর মাংস বাংলাদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই, আগে দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়। পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যাতে এর ফলে বাণিজ্যের ওপর কোনো প্রভাব না পড়ে। দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য খাতও খুঁজে বের করতে হবে। একটি ব্যালেন্স নীতি গ্রহণ করা সম্ভব হলে পণ্যের মূল্যের ওপর চাপ কমবে।