রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে ১৫ সালের হত্যাচেষ্টা ঘটনার মামলা ২০ সালে রুজু। ১ আসামী গ্রেফতার। মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রান নাশের হুমকী””

বিশেষ প্রতিনিধিঃ- ফরিদপুরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি তৃনমুল পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী। কিছু ব্যাক্তি রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কব্জা করে একেরপর এক হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ভুমি দখল,টেন্ডারবাজী, চাদাবাজি, তৃনমুল পর্যায়ের ত্যাগীনেতাদের বিভিন্ন হয়রানীমূলক ফাঁদে ফেলে রাজনীতি থেকে কোনঠাসা করা সহ নানান দূর্নীতির কাজে জড়িয়ে পড়েছিলো। যা ফরিদপুর শহর ও শহরতলীর সাধারন মানুষের কাছে রাজনীতির ভাবমুর্তি নষ্ট এবং সাধারন মানুষের কাছে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলো। ফরিদপুরের সুনামধণ্য পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কিছু দূর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, ভুমিদশ্যূকে গ্রেফতারের পর ফরিদপুর শহরে নেমে আসে শান্তি। শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন।ফরিদপুরবাসীর মধ্যে ফিরে আসে স্বস্তি।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ইং তারিখ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম কে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় কারনে হত্যা করার উদ্দ্যেশে মারাত্বকভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে অপরাধিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া সম্বব হয়নি। তবে অপরাধিদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের কারনে যখন পুলিশ প্রশাসন শুরু করে অভিযান তখন ভুক্তভোগীরা সোচ্চার হয় অপরাধের ন্যার্য বিচার পেতে।
গত ১৩/১১/২০২০ইং তারিখে চাদা না দেওয়ার কারনে হত্যাচেষ্টায় আহত শহিদুল ইসলাম এর পরিবারের সদস্য রুহুল আমিন বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। যা পুলিশ আমলে নেয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রুজু হয় মামলা। মামলা নং ৩৭, তারিখ: ১৩ নভেম্বর ২০২০ইং।ধারা১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/ ৩৮৫/৩৭৯/৪৩৫/৪২৭/৫০৬(।।।) /১১৪ পেনাল কোড।
এ মামলায় গত ৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় ফরিদপুর শহরতলীর বারোখাদা এলাকা থেকে মামলার ১১ নং আসামী জামালউদ্দিন শেখ (৪৮) কে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মামলা মোট আসামী রয়েছে ১৪ জন । যথাক্রমে ১। সাজ্জাদ হোসেন বরকত,২।ইমতিয়াজ হাসান রুবেল,৩। রেজাউল করিম (পান্নু),৪।সেলিম হাওলাদার,৫। রাব্বানী মিয়া,৬। রেজা, ৭। বাপ্পী,৮।আকাশ,৯।আলামিন,১০। লুৎফর, ১১।জামালউদ্দিন শেখ (গ্রেফতার)১২।আনোয়ার খা, ১৩। মোস্তাফিজুর রহমান রাব্বী, ও ১৪। মিজানুর রহমান।
উল্ল্যেখ্য যে এই মামলার বেশ কয়েকজন আসামী তাদের বিভিন্ন অপকর্ম এবং দূর্নীতির জন্য মানি লন্ডারিং মামলা, অস্ত্র মামলা, মাদক মামলা, মার্ডার মামলাসহ একাধীক মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।
এ মামলার বাদী মোঃ রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে শহিদুল ইসলাম এর মামলা তুলে নিতে মামলার বাদী রুহুল আমিন সহ তার পরিবারকে প্রাননাশের হুমকী দিচ্ছে।
« আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত (পূর্বের খবর)
(পরের খবর) নোয়াখালীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ »