রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ১২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২

হাসিব :::::::
আদাবর মো:পুরে শেরেবাংলা নগর ইদানিং ছিনতাইটা বেড়েগেছে। বিশেষ করে মোবাইল ছিনতাই, এই ছিনতাই গুরুফ গুলো কাদের ছত্রছায়াতে বাড়তেছে এটা অনেকে জানেনা। তবে যাদের ছত্র ছায়াতে থাকুক এলাকার শান্তির জন্য এগুলোকে নির্মূল করা দরকার হলেও কেউ এগিয়ে আসছেনা। র্যাব মাঝেমাঝে উকিদিলে কিছু ধরাপড়ে আবার কিভাবে যে তারা বেরিয়ে আসে, এবং তার চেয়ে দ্বিগুন সাহস নিয়ে এলাকায় ছিনতাইয়ের কাজ করতে থাকে। তবে এখন এদের শক্ত হাতে দমন না করলে পরবর্তিতে এদের দমন করা মুশকিল হয়ে যাবে বলে ধারনা করেন এলাকার অনেকেই। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলা নগর থেকে দেশি অস্ত্র সহ ডাকাত এবং ছিনতাইকারীর ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। র্যাব-২এর এই অভিযান চলে ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ আনুমানিক রাত ৮.১০দিকে। র্যাব-২ সুত্রে জানা যায়, র্যাব-২ এর আভিযানিক ও টহল দল এর সম্মুখে মোহাম্মদপুরস্থ কৃষি মার্কেট ৩১ নং তাজমহল রোড, ব্লক-সি, ওয়ালটন শো রুমের সামনের রাস্তার উপর বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন ছিনতাইকারী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পথচারীর হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পিছন থেকে টানাটানি করতে দেখে ছিনতাইকারীর ৭ জনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের তল্লাশী করে ৫ টি চাকু পাওয়া যায়। আসামীরা জানায়, তারা সংঘবদ্ধভাবে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে চলন্ত গাড়ীতে অবস্থানরত মানুষের ব্যবহৃত মোবাইলসেট এবং হাতে থাকা ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ছোট ছোট জিনিসপত্র হঠাৎ করে টান দিয়ে নিয়ে চলে যায়। তারা মুলত একটি সংঘবদ্ধ দলে কাজ করে। বিভিন্ন বাস/ট্রাক কাউন্টার/সড়কে এ গ্রুপের এজেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
আরেকটি অভিযান, র্যাব-২ এর একটি দল গোপন সংবাদে জানতে পারে, শেরেবাংলা নগর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতের উপর সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতি উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ সমবেত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্র ডাকাতদলটি পলায়নের চেষ্টাকালে ১। মোঃ তরিকুল (২১), ২। মোঃ জাবেদ (২০), ৩। রাব্বি (২০), ৪। মোঃ সুজন (২৮) এবং ৫। রুবেল (২০) দেরকে ২টি ডেসার,২টি ছোরা সহ গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। বিশেষ করে দিনের বেলায় তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নগদ অর্থ, মোবাইল, ল্যাপটপ, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে। এছাড়াও রাতের বেলায় তারা এরকম দুই বা ততোধিক দল একত্র হয়ে নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটে বা ফাঁকা বাড়ীতে গ্রীল কেটে ও তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ডাকাতি করে থাকে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ঃ
ক। মোঃ শরিফ (১৮), পিতা- মোঃ শিপন, গ্রাম- কারাতি, থানা-তাড়াইল, জেলা-কিশোরগঞ্জ।
খ। মোঃ সোহেল (১৬), পিতা- মৃত হরমুজ আলী, গ্রাম- অজ্ঞাত, থানা- হালুয়াঘাট, জেলা- ময়মনসিংহ।
গ। মোঃ হাকিম (১৬), পিতা- মোঃ সহিদ, গ্রাম- চড়পাড়া, থানা- সদর, জেলা-ফরিদপুর।
ঘ। মোঃ কালু (১৫), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর, গ্রাম-গুইয়াতলা, থানা- কলাপাড়া, জেলা-
পটুয়াখালী।
ঙ। মোঃ সোহেল হোসেন (১৬), পিতা- মোঃ আব্দুল বারেক, গ্রাম- অজ্ঞাত, থানা- সদর,
জেলা- কিশোরগঞ্জ।
চ। মোঃ শাহীন (১৭), পিতা- চৌধুরী খান, গ্রাম- অজ্ঞাত, থানা- লালমোহন, জেলা- ভোলা।
ছ। মোঃ রিপন (১৪), পিতা- মোঃ বাচ্চু, গ্রাম- ঘাটপাড়া, থানা- সৈয়দপুর, জেলা-
নীলফামারী।
জ। মোঃ তরিকুল (২১), পিতা- সোহরাব হোসেন, সাং- বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন কুমিল্লা
বস্তি, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।
ঝ। মোঃ জাবেদ (২০), পিতা- নুর ইসলাম হোসেন, সাং- নবীনগর ৭নং বেড়ীবাধের ঢাল,
মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
ঞ। রাব্বি (২০), পিতা- মোঃ এজাজ, সাং- জহরী মহল্লা ৩১/২, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
হ। মোঃ সুজন (২০), পিতা- তোরাব হোসেন, সাং- জহরী মহল্লা ৪১/৯, মোহাম্মদপুর,
ঢাকা।
ট। রুবেল (২০), পিতা- খোকন, সাং- আসলামপুর, থানা- চরফ্যাশন, ভোলা।