প্রধান মেনু

রমজান উপলক্ষে চিনির ট্রাক-সেলের উদ্বোধন

ঢাকা, ১৯ বৈশাখ (২ মে) : রমজান উপলক্ষে ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহর ও চিনিকলের গেটে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে চিনি বিক্রয় করবে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন। ঢাকার ১৬টি স্থানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ট্রাক সেলে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৫ টাকা এবং মিল গেটে খোলা চিনি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন আজ রাজধানীর দিলকুশায় চিনিশিল্প ভবনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আ শ ম ইমদাদুদ দস্তগীরের সভাপতিত্বে করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, রমজানে দেশের কোথাও চিনির ঘাটতি হবেনা। চিনির পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তারপরও রমজানের সময় সকলের কাছে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি পৌঁছে দেয়া যায় সেজন্য ট্রাকের মাধ্যমে চিনি বিক্রয়ের এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রমজানে চিনির সম্ভাব্য চাহিদা প্রায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টন উল্লেখ করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের নিকট ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি চিনি মজুদ আছে।

এছাড়া, চলতি অর্থবছরে বেসরকারি পর্যায়ে ১৭ লাখ ৬ হাজার ৬শ’ ৭৯ মেট্রিক টন ‘র’ সুগার আমদানি করা হয়েছে। তিনি বলেন, চিনির পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ থাকার পরও যারা কারসাজি করে এবং মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রমজানে ঢাকা মহানগরীতে বিএসটিআই’র নিজস্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসন যৌথভাবে ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। ঢাকা মহানগরীর পার্শ¦বর্তী উপজেলা ও জেলা শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

এছাড়া, র‌্যাব এর সাথে যৌথভাবে প্রতিদিন এক বা একাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। ঢাকার বাইরে বিএসটিআই’র আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জেলা অফিসসমূহ প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। সেই সঙ্গে রমজান উপলক্ষে বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স টিমের অভিযান আরো জোরদার করা হবে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভেজাল খাদ্য ও পানীয় বিক্রির অভিযোগে যেসকল শিল্প প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে সেসকল প্রতিষ্ঠান বেআইনিভাবে পুনরায় চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।