প্রধান মেনু

রঙ্গমঞ্চ আইপিএল জুয়া খেলায় ভেসে চলছে পুরো ফরিদপুর।

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব।  চলছে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লীগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।রমরমা এই আইপিএল জুয়া খেলায় পুরো ক্রিকেট দেশের পাশাপাশি ফরিদপুরে ও কম যায় না।
ক্রিকেটের এ জমজমাট লিগকে ঘিরে এক ধরনের অসাধু চক্র প্রতিনিয়তই খেলছে জুয়া। ‘আইপিএল জুয়া’ এখন ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রামে। একে কেউ কেউ বলে টাকা লাগানো। আবার কেউ বলেন বাজি। ম্যাচের ফলাফল বাজি, ওভার বাজি, রান বাজিসহ বিভিন্ন ধরনের জুয়াবাজির ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে বা গোয়েন্দা নজরদারিতে কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও বন্ধ হচ্ছে না জুয়াবাজি।  পাশাপাশি অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সাইটেও সক্রিয় হয়ে উঠছেন জুয়াড়িরা।  বছরের শুরুতেই এই খেলাকে কেন্দ্র করে ঘটে চলছে চুরি,ছিনতাই,ডাকাতী, মারামারি,সহ নানান ধরনের দুর্ঘটনা।
আইপিএল, বিপিএল, বিশ্বকাপ; এমনকি দেশ-বিদেশের ঘরোয়া লিগগুলোকে ঘিরেও বাজিকরদের রমরমা ব্যবসা। পরিসংখ্যান বলে, পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তানে স্পট ফিক্সিংসহ বাজির প্রভাবটা অনেক বেশি। রাস্তার মোড়ের দোকানগুলোতে ভালোভাবে চোখ রাখলেই দেখা যায়, সেখানে চলছে বাজির দর কষাকষি।
তবে যারা বাজি ধরেন তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছর। যাদের বয়স বেশি, তারাই হলেন ঘরোয়া বাজির মাফিয়া ডন।যারা আড়ালে থেকে সব কর্মকান্ড চালিয়ে চলছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বা নিজেদের গপন অফিসে।
ফরিদপুর জেলায় উপজেলায় শহর থেকে গ্রামের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে এর প্রভাব পড়ছে না। যে ব্যবসায় প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। শুধু তাই নয় বাসাবাড়ি গৃহিনী থেকে বিভিন্ন পেশার মেয়েরা ও জড়িয়ে পড়ছে লোভনীয় এই নেশায় ।
পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন মোড়ের দোকানগুলোতে চলে এসব জুয়ার বাজি। দলগত হার-জিত নির্ধারণ ছাড়া পাশাপাশি চলে ওভার বা ‘বল বাই বল’ বাজি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বাজিকররা মাঠে গিয়ে বাজি ধরেন; কিন্তু আমাদের দেশে এক ধরনের জুয়াড়ি আছেন যারা বাজি ধরেন আ্যানডোয়েন ফোন ও টিভির স্ক্রিনে খেলা দেখে।
আজকাল একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই দেখা যায়, যখন কোনো ধরনের খেলা চলে বিশেষ করে টি-২০ কিংবা একদিনের ম্যাচ হলে তো কথাই নেই, জটলা বেঁধে যায় মোড়ের ছোট দোকানগুলোতে।
সরেজমিন আইপিএলের একটি খেলা চলাকালে ফরিদপুর একটি ছোট্ট চায়ের দোকানে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। কাছে ভিড়তেই দেখা যায় হাত বদল হচ্ছে টাকা। আর বুঝতে বাকি রইলা না এখানে চলছে জুয়া।
 ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ৬ ওভার) কত রান হবে, ৫ থেকে ১০ ওভারে কত রান হবে, টোটাল রান কত হবে, কোন প্লেয়ার বেশি রান করবে সবকিছু নিয়েই চলে বাজি। ফরিদপুর এমন কোন জায়গা নেই যেখানে এই জুয়া খেলা চলে না।কেউ হচ্ছে বড় লোক, কেউ হচ্ছে ফকির। মাদকের পাশাপাশি এই খেলা দিরে দিরে সমাজটা কে নিয়ে চলছে বিপদের সমুখে,