ময়মনসিংহ সংস্কৃতির বিশাল ভান্ডারকে জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজে লাগাতে হবে -মোস্তাফা জব্বার
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পৃথিবীব্যাপী বাংলাদেশের সংস্কৃতি এক অনন্য স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ এই সংস্কৃতিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের অবদান বিশাল মহীরুহ হিসেবে বিরাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ সংস্কৃতির বিশাল ভান্ডারকে জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজে লাগাতে হবে।
সংস্কৃতির বিকাশে ময়মনসিংহে একটি বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিকফোরামের উপদেষ্টাম-লী, জাতীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম নেতা আবদুস সামাদ, দুদক সচিব ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ ফোরাম নেতা ড. শামসুল আরেফিন বক্তৃতা করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেশের সংস্কৃতি বিকাশে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একটি জাতির বড় পরিচয় তার সংস্কৃতি। বৃহত্তর ময়মনসিংহের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও বিকাশে তিনি ফোরামের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বাংলা লোকসাহিত্যের অমর কীর্তি মৈমনসিংহ গীতিকার প্রকাশ, বিতরণ ও এর অন্তস্থ সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য ফোরাম নেতৃবৃন্দকে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।এর আগে মন্ত্রী বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর কর্মচারী ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির কার্যালয় পরিদর্শন করেন। ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসএস ভদ্রসহ ডাক অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।