প্রধান মেনু

ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের সফল অভিযান, ভিকটিম উদ্ধার— ৫ যৌনপল্লীতে এক কিশোরীর মূল্য ৮০ হাজার টাকা !

শফিউর রহমান সেলিম, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ)  প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ শহরের রমেশ সেন রোডস্থ যৌনপল্লীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী তরুণীকে পাচারের চেষ্টাকালে সংশ্লিষ্ট অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি পুলিশ) । এসময় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে ।
২২ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের গাঙ্গিনাপাড় ট্রাফিক মোড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি । আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, খলিল মিয়া (৩৫) সাং- গোয়াতলা, শিবচর , মাদারিপুর , বশির মিয়া (৪৩) সাং – চন্দ্রপুর, ভোলা, তারা মিয়া (২৮) পিতা, আজগর আলী , সাং রামকৃষ্ণপুর, থানা হরিরামপুর , জেলা , মানিকগঞ্জ , আসলাম (৫২), পিতা নাসির উদ্দিন,আরকে মিশন রোড, ময়মনসিংহ এবং তার স্ত্রী জোহরা খাতুন (৪৫) ।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন , ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আশিকুর রহমান । এসময় ডিবি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান, সেকেন্ড অফিসার ফারুক আহমেদ, উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন, এএসআই ওমর ফরুক প্রমুখ, কর্মকর্তা ও সংস্থটির জওয়ানরা। এব্যাপারে ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপহরণ ও মানবপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে । মামলা নং – ৮৯ ।
তাং- ২৩ মার্চ । মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি খলিল মিয়া গত ২০ মার্চ ভিকটিমকে গার্মেন্টেসএ চাকুরির দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় তার ভাড়ার বাড়িতে নিয়ে যায় । এসময় মেয়েটিকে আটক করে রাখা হয় । ময়মনসিংহের যৌনপল্লীতে বিক্রির উদ্দেশ্যে ২দিন পর ২২ মার্চ নিয়ে আসে । এসময় চক্রের সদস্য আসামি যৌনপল্লীর সর্দারনী জোহরা খাতুনসহ অপরাপর আসামি মিলে শহরের গাঙ্গিনারপাড় ট্রাফিক মোড় এলাকায় ক্রয় বিক্রয়ের লক্ষে টাকা লেনদেন করে । ডিবি পুলিশ ঘটনা আঁচ করতে পেরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে । এক পর্যায়ে চক্রের সংশ্লিষ্টদের আটক করতে সক্ষম হয় ।
ভিকটিম তার নামনা প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা খুবই গরিব পরিবারের । তিনি এবং তার ৩ বোন এবং ১ ভাইকে নিয়ে অতিকষ্টে নীলফামারি জেলার জলঢাকা থানার এক স্থানে বসবাস করছিলেন । মা নেই । বাবাও বৃদ্ধ ।
এমতাবস্থায় এসএসসি পরীক্ষাও দেয়া সম্ভব হচ্ছিলো না তার । বাধ্য হয়েই একটি চাকরি খুজে বেড়াচ্ছিলেন তিনি । চাচাতো ভাই সাইদুল ইসলামের হাত ধরে ঢাকায় আসেন । এরপরই প্রতারকদের কবলে পড়েন তিনি । ডিবির এসআই নাজিম উদ্দিন জানান, আটক আসামিরা স্বীকার করে বলেছে যে, তারা মেয়েটিকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রয় কওে ছিল । এজন্য তারা যৌনপল্লীর সর্দানী জোহরা দম্পতিকে দায়ি করেন ।
ডিবির ওসি আশিকুর রহমান জানান, জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম স্যারের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয় । তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহে যৌনপল্লীর সার্বিক বিষয় নিয়ে দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয় । ঐ সংবাদের সূত্র ধরে ডিবি পুলিশ অভিযানে নামে । সংবাদের প্রেক্ষিতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি আশিকুর রহমান ।