প্রধান মেনু

ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

ম্যানচেষ্টার (যুক্তরাজ্য), ১৭ এপ্রিল: ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস’ পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও দিবসটির ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান তার বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। সহকারী হাই-কমিশনার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের পটভূমির ওপর আলোচনায় বলেন, ১০ এপ্রিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গণপরিষদ গঠনপূর্বক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক ইতিপূর্বে ঘোষিত স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ও অনুমোদনের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর সরকার একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। সহকারী হাই-কমিশনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।