মৈমনসিংহ গীতিকা বাঙালি জাতির সম্পদ — মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৮ র্মাচ) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দীনেশচন্দ্র সেন সংকলিত মৈমনসিংহ গীতিকা বাঙালি জাতির সম্পদ। এই মহাসম্পদ বাংলা, বাঙালি, বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী যে পরিচিতি দিয়েছে তা অভাবনীয়। এটাকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবার প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জারি-সারি, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালী, বাউল গান, পালা গান, পুঁথিপাঠ জুড়ে আছে বাঙালির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে। বাঙালির এই সম্পদকে রক্ষায় এগুলোর চর্চা করতে হবে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম আন্তরিকতার সাথে এই কাজটি করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলা একাডেমির ভাষা শহিদ মুক্তমঞ্চে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে মৈমনসিংহ গীতিকার তৃতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি নূরুল হুদা, সাবেক সচিব আব্দুস সামাদ, বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক কবি রফিকুর রশিদ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সেক্রেটারি রাশেদুল হাসান শেলী বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মৈমনসিংহ গীতিকার তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশনাকে একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী কাজ উল্লেখ করে বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিশেষ করে গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে প্রবাহিত হাওরাঞ্চলের প্রাচীন জীবনগাঁথা মৈমনসিংহ গীতিকায় উঠে এসেছে। এটার যেমন সাহিত্য মূল্য আছে তেমনি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে রয়েছে এর নিবিড় সম্পর্ক। এই সম্পদ আমাদের রক্ষা করতে হবে। “পরাবাস্তবতার যুগে বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি বা ময়মনসিংহ গীতিকাকে পিছিয়ে রাখতে চাইনা” বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি এ সময় বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে পূর্ববঙ্গ গীতিকার সংস্করণ প্রকাশ করারও ঘোষণা দেন।
পরে মন্ত্রী মৈমনসিংহ গীতিকার তৃতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন।