প্রধান মেনু

মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এমপি নূরুল হকের মতবিনিময়

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলতহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও স্মৃতি সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা এক সময় অবহেলিত ও উপেক্ষিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও অক্ষুন্ন রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ভাতা বৃদ্ধি, উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও উন্নতবাড়ী নির্মাণ সহ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনামূল্যে দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেছেন।

ফলে এখন আর কোন মুক্তিযোদ্ধা অবহেলিত কিংবা বঞ্চিত নেই উল্লেখ করে এমপি নূরুল হক বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পৌর সদরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জমি ও পাঁকা ভবনের ব্যবস্থা করেছিলাম। সেই ভবনের পাশেই সরকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে। এলাকার সামগ্রীক উন্নয়ন সহ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে যা কিছু দৃশ্যমান উন্নয়ন করা হয়েছে যার বেশির ভাগই প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় দলীয় এমপি হিসাবে আমি করেছি। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাঁকা শহীদ কামরুল স্টেডিয়াম, ধামরাইল খেলার মাঠ, চাঁদখালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের ছাদের উন্নয়ন ও মুক্তিযোদ্ধা লাইব্রেরী ও কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ২ লাখ টাকার অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি শনিবার সকালে পাইকগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু সহ মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনে বর্তমান এমপি নূরুল হককে পুনরায় দলীয় প্রার্থী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। ইউএনও ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, আওয়ামীলীগনেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান গাজী, উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়, ওসি (তদন্ত) এসএম শাহাদাৎ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এসএমএ মাজেদ, রণজিৎ কুমার সরকার, জামাল উদ্দীন, জামিল হোসেন, আমিনুল ইসলাম ও আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ।