প্রধান মেনু

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে মুছে ফেলতেই স্বাধীনতা বিরোধীদের ভাস্কর্য আন্দোলন– এমপি বাবু

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ খুলনা-৬ পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষিত বাঙালি জাতিকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ধীরে ধীরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করে বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়তে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন তারই যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বাস্তবায়ন করতে চলেছে ঠিক এমনি সময় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। এরা ভাস্কর্য আর মুর্তিকে এক করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

এমপি বাবু বলেন, বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। অথচ সেখানে এ নিয়ে কোন আন্দোলন হয় না।
হেফাজত, জামায়াতের নতুন সংস্করণ উল্লেখ করে এমপি বাবু বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে মুছে ফেলতে জামায়াত বিএনপি সহ স্বাধীনতা বিরোধীরা ভাস্কর্য আন্দোলনের নামে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। স্বাধীনতা বিরোধী এসব অপশক্তিকে প্রতিহত করার মাধ্যমে আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হবে। এ জন্য তিনি প্রতিটি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাতে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন।

সম্প্রতি কপিলমুনি মুক্ত দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ এমপি বলেন, সেদিন কর্মসূচিতে আসার জন্য কোন যানবাহনের ব্যবস্থা ছিল না। অথচ কপিলমুনি মুক্ত দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এটি হচ্ছে মানুষের ভালবাসা। ওই দিনের অনুষ্ঠান নিয়ে অপরাজনীতি না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বুধবার সকালে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীরণ সাধু, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, যুগ্ম-সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী, আওয়ামী লীগ নেতা বিভূতি ভূষণ সানা, জি এম ইকরামুল ইসলাম, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, দীপক কুমার মন্ডল, আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী, গোলাম রব্বানী, বিজন বিহারী সরকার, হেমেশ চন্দ্র মন্ডল, জেলা যুবলীগনেতা শামীম সরকার, যুবলীগনেতা শেখ শহীদ হোসেন বাবুল, জগদীশ চন্দ্র রায়, শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, এমএম আজিজুল হাকিম, অখিল মন্ডল, মিজানুর রহমান মিজান, দীপংকর মন্ডল, আকরামুল ইসলাম, শেখ আবুল কালাম আজাদ, দীজেন্দ্রনাথ মন্ডল, জহুরুল হক সানা, প্রভাষক মসিউর রহমান, হাসান রুমি, শেখ জুলি, নাজমা কামাল, ফাতেমা তুজ জোহুরা রূপা, শেখ জামাল হোসেন, আল ইদ্রিস, প্রভাষক এস রোহতাব উদ্দীন, বজলুর রহমান, আজিজুল ইসলাম সরদার, ছাত্রলীগনেতা পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী, মীর ছদরুল আমিন, রায়হান পারভেজ রনি, সালাউদ্দীন কাদের, রাশেদুজ্জামান রাসেল, শাহীন শাহ বাদশা ও অহিদুজ্জামান।