প্রধান মেনু

মুক্তিযুদ্ধে বেতারের অবদান চিরস্মরণীয় — তথ্যমন্ত্রী

পিআইডি নিউজ : মুক্তিযুদ্ধে বেতারের অবদানকে চিরস্মরণীয় বলে অভিহিত করলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। ‘আমাদের বাংলাদেশ বেতার আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে জড়িয়ে আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের অবিভক্ত চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান পাঠ করেন।’ আজ ঢাকায় জাতীয় বেতার ভবনে ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ র‌্যালি উদ্বোধনের প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বান শুনে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পুরো নয় মাস জুড়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মানুষের জন্য, যুদ্ধের জন্য প্রেরণার উৎস। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান ও সংবাদ এবং অনুষ্ঠানমালা শুনে মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে এবং আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনার ক্ষেত্রে বেতারের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। এদেশে বেতারের যাত্রাকালের কথা স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্ব বাংলায় আজকের ‘বাংলাদেশ বেতার’এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আবার ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। সেই থেকে প্রকৃতপক্ষে বেতার হচ্ছে সেই গণমাধ্যম, যেটি সমস্ত মানুষের কাছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছুতে পারে। ‘বঙ্গোপসাগরে মাঝিমাল্লারা বেতার শোনে, গান শোনে, সেখানে টেলিভিশন দেখার কোনো সুযোগ নেই’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশে অনেক টেলিভিশন, কিন্তু বঙ্গোপসাগরে ছোট ছোট নৌকায় টেলিভিশন দেখার সুযোগ নেই, তারা কিন্তু রেডিও শোনে।

যখন দুর্যোগ দুর্বিপাক হয়, একেবারেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তখন বেতারের মাধ্যমে বার্তাটি পায়।’ ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এ দেশের এফএম ও কমিউনিটি বেতারের যাত্রা শুরু হয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিশ্ব বেতার দিবসে আমরা যখন কথা বলছি, বাংলাদেশে তখন অনেকগুলো এফএম বেতার চালু হয়েছে, তার অনেকগুলোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশে অনেক কমিউনিটি বেতারও চালু রয়েছে, এগুলো বিনোদন দেওয়া, দেশ ও সমাজ গঠনে, নতুন প্রজন্মের মনন গঠনে অনবদ্য ভূমিকা পালন করছে।’

‘বাংলাদেশ বেতার-সহ সকল বেসরকারি বেতারের অনুষ্ঠানমালা যেন এমনভাবে সাজানো হয়, যাতে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ ও উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা অবদান রাখতে পারে’ বলে প্রত্যশা ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। এর পরপরই ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ র‌্যালি উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় যোগ দেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদারের সভাপতিত্বে তথ্যসচিব কামরুন নাহার বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানমালায় যোগ দেন।