প্রধান মেনু

মিঠামইনে বঙ্গবন্ধুর সময়ে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল, যা এখনও কার্যকর—–নৌপরিবহন  প্রতিমন্ত্রী

দিব্রুগড় (আসাম), ২৮ ফেব্রুয়ারি : নৌপরিবহন  প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে করা (১৯৭২ সালের) প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এর অধীনে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েও কার্যকর আছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘এমভি গঙ্গা বিলাস’ ভারত থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ হয়ে  নৌপ্রটোকল রুট ব‍্যবহার করে আসামে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ- ভারতের সম্পর্ক মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রক্ত দিয়ে তৈরি। ৫০ বছর ধরে এ সম্পর্ক বিদ‍্যমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে এ সম্পর্ক অন‍্যরকম উচ্চতায় চলে গেছে। স্থলপথেও স্থলবন্দরগুলোর মাধ‍্যমে দু’দেশের যাএী ও পণ‍্য পরিবহন অব‍্যাহত আছে। বাংলাদেশ ভারতের মধ‍্যে ব‍্যবসা-বাণিজ‍্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ আসামের দিব্রুগড়ে ভারতীয় পর্যটন জাহাজ ‘এমভি গঙ্গা বিলাস’ এর রিভার ক্রুজ সমাপ্তি উপলক্ষ‍্যে আয়োজিত অভ‍্যর্থনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

 পোর্টস, শিপিং ও ওয়াটারওয়েজ  এবং আয়ুষ বিষয়ক  মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

উল্লেখ্য, ভারতের পর্যটকবাহী নৌযান ‘এমভি গঙ্গা বিলাস’ গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘গঙ্গা বিলাস’ বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে। প্রতিমন্ত্রী ৪ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরে ‘এমভি গঙ্গা বিলাস’ এর যাএীদের অভ‍্যর্থনা জানান। সেদিন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন। আরো উল্লেখ্য, বিলাসবহুল ‘গঙ্গা বিলাস’ ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে ১৩ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করেছে। সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি ‘গঙ্গা বিলাস’ এর যাত্রা উদ্বোধন করেন।

‘এমভি গঙ্গা বিলাস’ বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাদেশের জলসীমায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুযায়ি প্রটোকল রুটের নাব্যতা রক্ষা, বার্দিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও নৌপথ ব্যবহারের জন্য ভয়েজ পারমিশন প্রদান এবং ভয়েজ পারমিশনের সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিল বিআইডব্লিউটিএ।

প্রটোকলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যাত্রী ও পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কোস্টাল এবং প্রটোকল রুটে যাত্রী ও ক্রুজ সার্ভিস চালুর লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।