প্রধান মেনু

মামু কি তাকে এমপি বানাবে পটুয়াখালী-৩ এ মনোনয়ন প্রত্যাশী সাজুকে আরেক মনোনয়নকামী এমপি

স্টাফ রিপোর্টারঃ আসন্ন একাদশ নির্বাচনে প্রার্থীদের দৌঁড়-ঝাঁপ, লবিং, গ্রুপিং বেশ চোখে পড়ার মত। এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এর একেক দিন একেক কথায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। আওয়ামী লীগ বেশীরভাগ মনোনয়ন কামীরা মনে করছেন, নৌকা পেলেই নিশ্চিত পাস। তাই তারা যেকোন মূল্যে ছলে-বলে কৌশলে নৌকার মাঝি হওয়ায় অবিরত চেষ্টায় চষে বেড়াচ্ছে সব দরজা। কেউবা বহুল প্রচলিত একটি বাক্য – মামা-খালুর জোরেও নির্বাচন করতে চাচ্ছে। ইতিমধ্যে গণমাধ্যমসহ সবমহলে যে বিষয়টি বিতর্কিত হচ্ছে, তা হলো, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আপন ভাগনের পটুয়াখালী – ৩ ( দশমিনা-গলাচিপা) আসনে আওয়ামী মনোনয়ন ও প্রার্থী হওয়ায় সম্ভাবনায়। জানা গেছে, মামার জোর কাজে লাগিয়ে এস এম সাহজাদা সাজু অত্র আসনে এমপি হওয়ায় খায়েসে মশগুল। অথচ তার নাই কোন দলীয় ব্যাক গ্রাউন্ড । তিনি দাবী করছেন, তিনি একসময় ছাত্রনেতা করতেন। এদিকে, এ বিষয়ে বর্তমান এমপি আ.খ.ম. জাহাঙ্গীর এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, তিনি কোথায় ছাত্রনেতা ছিলেন, কোন দলের ছাত্র নেতা ছিলেন? হয়ত যে দল বা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর জন্ম হয়নি এরকম কোথাও সে ছাত্রনেতা ছিলো। এছাড়া তিনি আরো বলেন, শাহজাদা কখনও আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলনা। উনার পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। উনার ফুফা রাজাকার জয়জুদ্দিন মৃদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধারা মেরে ফেলেছে পাকস্তানের পক্ষে কাজ করার জন্য। তার রাজাকার দাদাকেও মেরে ফেলা হত মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করার জন্য কিন্তু নুরুল হোদার অনুরোধে তাকে রক্ষা দেয়া হয়। তাই শুধুমাত্র কারো ভাগনে বা কারো আত্মীয় বলে কাউকে প্রার্থী করার রেওয়াজ আওয়ামী লীগে আছে বলে আমার জানা নাই। আর তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা সিইসি এমন কোন কাজ করবেননা যাতে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ান এলিভেনের সংস্কার পন্থি এ নেতা এ প্রতিবেদককে সিইসির ভাগনে সাজুকে উল্টো প্রশ্ন রাখতে বলেন যে, দশমিনা ও গলাচিপায় রয়েছে ১৯ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা। আছে নির্বাচিত ১৬ জন নৌকার চেয়ারম্যান। এর মধ্যে মিনিমাম একজন চেয়ারম্যান অথবা একজন আওয়ামী লীগ সভাপতি বা সেক্রেটারীও তার প্রতি কোন সুপারিশ বা সমর্থন আছে কি? ইলেকশন করতে হলেতো এদেরকে লাগবে নাকি মামু তাকে এমপি বানিয়ে দিবে? এই সাহাজাদা সাজু তৃনমূলেও তেমন জনপ্রিয় না বলে জানালেন অত্র এলাকার অনেকেই। অন্যদিকে, এই বর্তমান এমপিও বেশ কিছু কারণে বিতর্কিত। গত ১৫ আগস্টে জাতীয় শোক দিবসে এই সাজুর উপরেই ন্যাক্কারজনক হামলা করেন তিনি এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, সংস্কারপন্থি ইস্যু কারণেই তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পড়েন। সে সময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমন্ধেও কটু কথা বলতে দ্বিধা করেনি। একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ২০১৪ তাকে আবার প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা করে এমপি হলে, তার প্রত্যক্ষ সাপোর্টে রাজা রাজাকারের ছেলে লিকনকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানানো হয়। এছাড়া এই বর্তমান সংসদ সদস্য নানা কারণে বিতর্কিত। তার দলেরই বেশ কিছু নেতা বলেন, তিনি তৃনমূল বিচ্ছিন্ন একজন নেতা। তৃনমূলের সাথে তার সম্পর্ক নেই বললেই চলে।এছাড়া, নানারকম দূর্নীতির সাথেও তার সম্পৃত্ততা রয়েছে। যা আওয়ামী লীগকে অলরেডি কলঙ্কিত করেছে। তার ভাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপনকে দিয়ে বিচারের নামে এক মহিলার মাথা ন্যাড়া করার মত এক ন্যাক্কারজনক ঘটনাও ঘটান বলে জানা গেছে। অত্র এলাকার কয়েকজন সাধারন ভোটারকে এই এমপি সমন্ধে জানতে চাইলে তারা জানান, ভাই এ নেতা বড়ই চতুর। একে ছাই দিয়েও ধরতে পারবেননা। আমাদের আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকেরাও মনে হয় উনাকে উনাকে চিনতে ভুল করছেন। তবে এ যুগে এসব নেতা আর চলেনা। সেকাল চলে গেছে, উপর মহল যদি এবার এই সংস্কার নেতাকে সংস্কার না করে, তবে এ আসনটি হাতছাড়াও হয়ে যেতে পারে। কারণ মানুষ বিভিন্ন কারণে এই খ.ম জাহাঙ্গীর এর উপর বিরক্ত। এসব ব্যাপারে এই সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এগুলো আমার বিরোধীরা শুধুমাত্র আমার বিরুদ্ধে কিছু বলতে হবে তাই বলা। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়- সংস্কারপন্থি কেন বলা হয় আপনাকে? তিনি উত্তরে বলেন, সেই চ্যাপ্টারতো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারপরেতো প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে নিয়ে ২০১৪ তে মনোনয়ন দিয়েছেন।